মালদহের তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন মমতা। ছবি পিটিআই।
মালদহে দলীয় কোন্দল রুখতে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে দলের একাধিক বিধায়ক-সহ রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম করেই তাঁর হুঁশিয়ারি, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করলে চলবে না। বরং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ‘নিশানা’য় ছিলেন মালদহের মানিকচক কেন্দ্রের দলীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ এবং ইংরেজবাজারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। বৈঠক চলাকালীন তাঁদের নাম করেই মমতার নির্দেশ, ‘‘মালদহে সাবিত্রী আর কৃষ্ণেন্দুর ঝগড়া করলে চলবে না। কৃষ্ণেন্দু আর নীহারের ঝগড়া করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, সরকারটা অনেক বড়। এবং দলটাও অনেক বড়। এই দলটার সরকার। আপনাদের ঝগ়ড়া করা শোভা পায় না। আপনাদের কো-অপারেশন (সহযোগিতা) করে কাজটা করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, মালদহের এই তিন নেতা-নেত্রী নিজেদের মধ্যে বহু বার প্রকাশ্যেই ঝামেলায় জড়িয়েছেন। তার উত্তাপ মালদহ তো বটেই কখনও কখনও পৌঁছেছে রাজ্য রাজনীতিতেও। কৃষ্ণেন্দু রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী থাকাকালীন উদ্বাস্তু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সাবিত্রী। সে সময় পাট্টা দেওয়ার এক সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারি আধিকারিকদের সামনেই ঝগড়া করতে দেখা গিয়েছিল দুই মন্ত্রীকে। অন্য দিকে, জেলায় নীহার এবং কৃষ্ণেন্দুর বিবাদও সুবিদিত। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ দখল করা নিয়েও নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়েছেন দু’জন। এমনকি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নীহারের বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করেন কৃষ্ণেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy