কড়া মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। ফাইল চিত্র
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পরে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনডাস্ট্রিয়াল বোর্ড’-এর বৈঠকে তিনি নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠনের কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পার্থের হাতে শিল্প ছাড়াও আরও দু’টি দফতর ছিল। তথ্য প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক্স এবং পরিষদীয় দফতর। আপাতত তিনটি দফতরই নিজের হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা জানাতে গিয়েই সৌজন্য সভাগৃহের বৈঠকে বণিক সমাজের প্রতিনিধিদের মমতা জানান, তিনি নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মমতা বলেন, ‘‘পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে থাকছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু যত ক্ষণ না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছি তত ক্ষণ এই দফতরগুলি আমার কাছে এসেছে।’’ মমতার কথায়, ‘‘পার্থদাকে রিলিফ দিয়েছি।’’
রাজ্যের মন্ত্রিসভা বদল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা ছিলই। সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডের মৃত্যুর পরে নতুন করে কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি। দফতরগুলি অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কয়েক জনের দফতর রদবদলও হয়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর যা ইঙ্গিত তাতে পার্থর দফতরগুলি তিনি সাময়িক ভাবেই নিজের কাছে রাখছেন। পরে নতুন কাউকে তিনি সেই দফতর দেবেন, না কি মন্ত্রিসভা বদল হবে তা অবশ্য বৃহস্পতিবার তিনি উল্লেখ করেননি। তবে ‘নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন’ কথাটির উল্লেখ করেছেন।
পার্থের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই রাজ্যে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে তৃণমূলের অন্দরে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন থেকেই মন্ত্রিসভার কিছু মুখকে বাদ দেওয়ার পক্ষে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়েই সেই মুখেদের বাদ দেওয়ার পক্ষে মত ছিল তাঁর। কিন্ত সেটা না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন বলেও সেই সময়ে তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছিল। এখন অভিষেক অনেক বড় দায়িত্বে। তাই নতুন করে জল্পনা, তবে কি রাজ্য মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজার পথেই হাঁটতে চলেছেন মমতা?
দু’রকম ভাবে সেটা হতে পারে। গোটা মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে তা গঠন করতেই পারেন মমতা। আবার নতুন কয়েক জনকে মন্ত্রী করে পুরনোদের কাউকে বাদও দিতে পারেন। তবে বর্তমানে মন্ত্রী থাকা অনেকেরই দফতর বদলে যেতে পারে বলে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ কথা বলবেন মমতাই। তিনি বিস্তারিত মুখ না খোলায় পার্থের অপসারণে খালি হওয়া দফতরই শুধু নয়, গোটা মন্ত্রিসভা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy