মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
নতুন থানা তৈরি সম্ভব নয়। তবে, কাজের সুবিধার্থে বেলুড় ও দক্ষিণেশ্বরকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে আনা প্রয়োজন। ‘দানা’ পরবর্তী নবান্নে শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ওই দুটি জায়গার ভৌগোলিক অবস্থানগত যে পার্থক্য রয়েছে, তাতে এই নির্দেশ কী ভাবে কার্যকর করা সম্ভব, প্রশ্ন উঠেছে।
হাওড়া জেলার মধ্যে থাকা বালি বিধানসভার বেলুড় ২০১১ থেকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যেই রয়েছে। বেলুড় মঠের জন্য আলাদা ফাঁড়িও আছে। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের বেলুড়-বালির উল্টো দিকে, অর্থাৎ পূর্ব পাড়ে দক্ষিণেশ্বর। সেটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার মধ্যে, কামারহাটি বিধানসভার অর্ন্তভুক্ত। আইনশৃঙ্খলার সুবিধার্থে বছর কয়েক আগে তৈরি হয়েছে দক্ষিণেশ্বর থানা। আবার, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য রয়েছে আলাদা ফাঁড়ি। যে দু’টি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে। গঙ্গার দু’পাড়ের এই দুটি এলাকা যুক্ত বালি ব্রিজের মাধ্যমে।
বেলুড় ও দক্ষিণেশ্বর দু’টি আলাদা জেলার, পৃথক পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে। ফলে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও আলাদা ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়। সমস্যা যদি থাকে, সেটি বালি ব্রিজ নিয়ে। কারণ ব্রিজটির প্রথম তিনটি পিলার (বালি ও দক্ষিণেশ্বর উভয় দিকের রাস্তা) পর্যন্ত বালি থানার অধীনে। বাকি অংশ দক্ষিণেশ্বর ও বরাহনগর থানার আওতায়। কোনও দুর্ঘটনা কিংবা ব্রিজ থেকে কেউ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে কোন থানার দায়িত্বে আসবে তা নিয়ে অনেক সময়ে জটিলতা তৈরি হয়। অন্য দিকে জটিলতা রয়েছে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন ও বালি ব্রিজের রেল লাইনের অংশ নিয়ে। সেটি বেলুড় জিআরপি-র অধীনে। যদিও রেলের তরফে সেটিকে দমদম জিআরপি-র অধীনে আনার জন্য আগেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে রেল।
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, দক্ষিণেশ্বর হাওড়া কমিশনারেটে যুক্ত হলে হাওড়া জেলার একটি পুলিশ কমিশনারেটকে, পাশ্ববর্তী জেলার অন্য বিধানসভা, পুরসভার (কামারহাটি) অধীনে থাকা এলাকার দায়িত্ব নিতে হবে। এবং তাতে যাতায়াত থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজেও বিভিন্ন সমস্যা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy