ফাইল ছবি
কেন্দ্রের পিএম কেয়ার্স প্রকল্প ও মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে নাম না করে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নিয়েও তিনি আঙুল তোলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে। বিজেপি নেতারা অভিযোগ উড়িয়ে, পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন।
আসানসোলের কর্মী সম্মেলন থেকে মঙ্গলবার মমতা বলেন, “কোটি কোটি টাকায় মহারাষ্ট্রের সব বিধায়কদের বিক্রি করা হয়েছে। ওঁদের নিয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারকে ভেঙে দিচ্ছে। এর নাম গণতন্ত্র?” এর পরেই তিনি কেন্দ্রের প্রকল্পটির উদ্দেশে তোপ দাগেন। বলেন, “যখন পিএম কেয়ার্সের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব কেউ পায় না, অডিটও হয় না, কই এক বারও প্রশ্ন করেন? (সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে)।” সেই সঙ্গে, বিজেপি ১,১০০ কোটি টাকা দিয়ে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে বলেও তোপ দাগেন।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বার বার সরব হয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি গুয়াহাটির যে বিলাসবহুল হোটেলে মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কেরা থাকছিলেন, সেটির বাইরে তৃণমূল বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, ‘‘আগে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিন, তাঁর ভাইপো ত্রিপুরায় গিয়ে যে হোটেলে ছিলেন, তার খরচ কত?’’ কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারের প্রতিক্রিয়া, “উন্নয়নে যোগের কথা বলে, দল ভাঙানোর সংস্কৃতি আসলে তৃণমূলের। মহারাষ্ট্রের ঘটনায় কোথাও আমাদের কোনও যোগ নেই। আর পিএম কেয়ার্সের নামে যে কথা উনি বলেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই।”
একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা আটকে রাখায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত তোপ দাগছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এ দিন বলেন, “আমি যদি বলি, এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ, তা হলে তুমি কী করবে?” তাঁর দাবি, “তুমি জিএসটি-র নাম করে সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছ। এগুলি তোমার, দিল্লির টাকা নয়। এগুলি আমার টাকা। এই টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেরা করে খাচ্ছ।” মমতার এই বক্তব্যকে ‘হুমকি’ বলে দাবি করে টুইট করেন শুভেন্দু। দাবি করেন, ‘রাজ্য থেকে কেন্দ্রকে কর আদায় করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর অর্থ— তিনি পশ্চিমবঙ্গকে দেশের বাকি অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছেন। এটা কি বড় কোনও পরিকল্পনার অঙ্গ?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy