সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, প্রশাসনের সামনে এখন একটাই সমস্যা ভরা কোটাল এবং প্লাবন। আপাতত সেদিকেই নজর রাখছি আমরা।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে সঙ্ঘাতকে গুরুত্ব দেব না।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন্দ্রের তরফে তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেছিলেন কি না। জবাবে মমতা বলেন, ‘‘দুর্যোগের সময় সবাই মিলে কাজ করতে হয়। তাই করছি। সঙ্ঘাতকে গুরুত্ব দেব না। ’’
ইয়াস-এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি মানুষ। ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বাঁচানো গিয়েছে। জানালেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবারই পরিদর্শনে যাবেন। কিন্তু তাঁর কাছে খবর রয়েছে বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হবে। তাই হেলিকপ্টারে যেতে পারবেন না। শুক্রবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শনে যাবেন তিনি।
বাঁধ মেরামতিতে কেন্দ্র সাহায্য করে না, জানালেন মমতা। বললেন, ‘‘বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করছে রাজ্য সরকার।’’ সেচ দফতরকেও জলাধারে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
জল বাড়তে পারে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষকেও অনুরোধ করব বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার।’’
মমতা জানালেন, বৃহস্পতিবার আরও বড় বান আসতে পারে সমুদ্রে। কালও বৃষ্টি হতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পর্যায়ের প্রভাবকে অবহেলা করা যাবে না।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘সন্ধে ৮টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আবার বান আসতে পারে। তাই ত্রাণ শিবিরে যাঁরা আছেন তাঁরা এখনই বাড়ি ফিরবন না। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy