আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসান। পুজোর আগে উত্তর কলকাতাবাসীর জন্য স্বস্তি। খুলে গেল টালা ব্রিজ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫টা ৪৯ মিনিট নাগাদ রিমোটে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘‘পুজোর আগে এটা উপহার’’, উদ্বোধন করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
বরাহনগর বা সিঁথির মোড় থেকে উত্তর কলকাতায় আসতে এখন আর পেরোতে হবে না বেলগাছিয়া ব্রিজের যানজট। পুজোর আগে টালা সেতু খুলে যাওয়ার ফলে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উত্তর কলকাতা ও উত্তরের শহরতলিতে যাওয়ার পথে টালা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন এই সেতুটি তৈরি হওয়ায় তা আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টালা সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। ২০১৯ সালে পুজোর আগে ওই স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি সংস্থা রাইটস জানায়, টালা সেতু ভেঙে নতুন নির্মাণ প্রয়োজন। একই সুপারিশ করেন সেতু বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাও । ওই বছর পুজোর আগে টালা সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই বছরের এপ্রিলে সম্পন্ন হয় সেই কাজ।
আরও পড়ুন:
-
মুখ্যমন্ত্রী সব সময়ই সরকারি কর্মীদের পক্ষে, মন্তব্য বিধায়ক তাপসের, সুকান্ত বললেন, ‘রাজ্যের গালে আবার থাপ্পড়’
-
তৃতীয় দিনেও ভাটা পড়েনি অবরোধে, কুড়মি সমাজের বিক্ষোভে ব্যাহত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় রেল চলাচল
-
ডিএ মামলা: কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার
অগস্টে সেতুর নির্মাণ শুরু করে লার্সেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ত দফতর জানায়, এপ্রিলে খুলে দেওয়া হবে টালা সেতু। সেই সময়সীমা পেরোলেও কাজ শেষ হয়নি। মোট ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ করে ৭৫০ মিটার লম্বা টালা সেতু ফিরে পেলেন শহরবাসী। নবনির্মিত সেতুটির ‘ওয়াকিং বে’ পথচারীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হতে পারে। এ দিকে, সেতুর নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীদের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, পুজোর আগে উদ্বোধন করতে গিয়ে সেতুর কাজে তড়িঘড়ি করা হল কি? যদিও নবান্ন সূত্রের খবর, উদ্বোধনের পরে যান চলাচল নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক, তা হবে সেতুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে।