Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
DA Case

মুখ্যমন্ত্রী সব সময়ই সরকারি কর্মীদের পক্ষে, মন্তব্য বিধায়ক তাপসের, সুকান্ত বললেন, ‘রাজ্যের গালে আবার থাপ্পড়’

তৃণমূল বিধায়ক তাপস বলেন, “ডিএ না দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার কখনও ভাবেনি। সরকার, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব সময়েই সরকারি কর্মীদের পক্ষে। আগেও তিনি ডিএ নিয়ে যা বলার বলেছেন, করেছেন, দিয়েছেনও।”

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫৮
Share: Save:

ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে তৃতীয় বার রায় পুনর্বিবেচনার রাজ্যের আর্জি খারিজ করা হল আদালতে। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই এই রায় গেল। ডিএ মামলায় হাই কোর্টে রাজ্য সরকার ধাক্কা খাওয়ার পরই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিজেপি-সিপিএম।

যদিও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “ডিএ না দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার কখনও ভাবেনি। সরকার, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব সময়েই সরকারি কর্মীদের পক্ষে। এর আগেও তিনি ডিএ নিয়ে যা বলার বলেছেন, করেছেন, দিয়েছেনও।” এর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “বিষয়টি একেবারেই বিচারাধীন। রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকারের এজি এবং উচ্চ ন্যায়ালয় এবং বিচারপতির বিষয়। নিশ্চয়ই তারা এটা ঠিক করবেন। প্রয়োজনে যা করার তা করবেন। উচ্চ ন্যায়ালয়ের কোনও আদেশ নিয়ে তার উপরে তো কিছু বলা যায় না।”

রাজ্য সরকারে গালে যথারীতি ‘থাপ্পড় মারল’ ডিভিশন বেঞ্চ। ডিএ মামলা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের গালে যথারীতি থাপ্পড় মেরে আবার পাঠিয়ে দিয়েছে। বলেছে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রেখেছে।” সুকান্তের সংযোজন, “রাজ্য সরকারকে বার বার বলছি, খেলা, মেলা করবেন আপত্তি নেই। সেই খেলা-মেলার সঙ্গে যাঁরা ডিএ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যে সব বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না, যাঁরা কর্মসংস্থান পেয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে ৩০ শতাংশেরও বেশি ফারাক হয়ে যাচ্ছে তাঁদের। ডিএ বাড়লে শুধু যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের অর্থনৈতিক লাভ হয় তেমনটা নয়। ডিএ বাড়ার ফলে যে বেতন বাড়ল, সেই বেতন অর্থনীতিতে প্রবেশ করে। সেই টাকাটা অর্থনীতিতে খরচ হয়, বাজারে খরচ হয়। তার ফলে সমাজের অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদেরও উপকার হয়।”

লুট, পাচার আর তোলা এর মধ্যেই নিজেদের আটকে রাখতে বলে আবার মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার নিয়ম নীতির বাইরে চলছে। প্রাপ্য পাওনা, ন্যায্য অধিকারকে পদদলিত করে শুধু লুট, পাচার, তোলা— এর মধ্যেই সরকার নিজেকে আটকে রাখতে চায়। তোলাবাজি ন্যায্য, পাচার ন্যায্য, এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। আজকের আদালতের রায়ে আবার ধাক্কা খেল রাজ্য। এর পরেও ওদের লজ্জা হবে কি না জানি না।”

অন্য বিষয়গুলি:

DA Case BJP TMC CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE