সরকারি শর্ত মেনে হাতের বুড়ো আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ দেওয়ার পাশাপাশি ছবিও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে হরিশ মুখার্জি রোডের জয়হিন্দ ভবনের দোতলায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকারের শিবির চলছিল। আচমকাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আসেন তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গেই ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শিবিরে আগে থেকেই ছিলেন ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার। এসে কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে কথা বলে শিবিরের কাজকর্ম প্রসঙ্গে জানতে চান মমতা। তার পরেই করোনার সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ৩ জন মহিলা আবেদনকারীর পর লাইনে দাঁড়ান।
খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে নিজের যাবতীয় তথ্য জমা দেন। সরকারি শর্ত মেনে হাতের বুড়ো আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ দেওয়ার পাশাপাশি ছবিও তুলেছেন মমতা। মিনিট দশেকের মধ্যেই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে বেরিয়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। যাওয়ার আগে তাঁর এ হেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড গ্রহণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ মানুষের মতোই কার্ড নিলাম।’’
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার ৯ কোটি পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয়ে আবেদনকারীদের এই প্রকল্পের অধীনে আনার কথা বলেছিল রাজ্য। কিন্তু সম্প্রতি প্রকল্পটিকে সর্বজনীন করে দেন মমতা। সঙ্গে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত দুয়ারে সরকারের শিবির মারফত এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড রাজ্যবাসীকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতির ‘ওয়্যাগ’ কাহিনি, পরিত্রাণ খুঁজছে জেরবার বিজেপি
এ দিন কালীঘাট এলাকার দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে নিজের কার্ডটি সংগ্রহ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড গ্রহণ করার পর তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক সম্মেলনে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেন, সেই রাজ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড নেওয়ার জন্য আমরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারি।’’
আরও পড়ুন: লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন শীঘ্রই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy