মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
কেএলও নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক রাজ্য সরকার— সোমবার এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে কেএলও প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের পুলিশকর্তাদের নজর রাখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে দীপাবলি বা কালীপুজোয় যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেই নির্দেশও দেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উত্তরবঙ্গের পুলিশকর্তাদের কাছে কেএলও প্রসঙ্গে জানতে চান। এই মুহূর্তে কেএলও কার্যকলাপ কিছু রয়েছে কিনা— আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেকে তা জিজ্ঞাসা করেন। সব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ভোলানাথ জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ওটা তো এখন মায়ানমারে রয়েছে?” জেলার পুলিশকর্তাদের একাংশের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী কেএলও প্রধান জীবন সিংহের কথাই বলতে চেয়েছেন। তার পরেও আলিপুরদুয়ারের পুলিশকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লক্ষ্য রাখবে। কিছু বদমাশ লোক আছে তো! ওরা শান্তি চায় না। সব সময় অশান্তি করতে চায়। সামনেই দীপাবলি ও কালীপুজো আসছে। কেউ যাতে অশান্তি করতে না পারে।”
সম্প্রতি জীবনের একের পর এক ভিডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। তাতে কেএলও প্রধান ফের নিজের জঙ্গি সংগঠনকে ঢেলে সাজতে চাইছেন কিনা, তা নিয়ে পুলিশকর্তাদের একাংশের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়। ফলে অসম সীমানা লাগোয়া আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বা কোচবিহারের বক্সিরহাটে নজরদারি বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। নজর রাখা হচ্ছে সন্দেহভাজন অনেকের উপরেই। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, জীবনকে ফেরাতে সম্প্রতি মূলস্রোতে ফেরা একাধিক প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিকে আলোচনার জন্য কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তাঁরা যে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক, তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান উত্তরবঙ্গের পুলিশকর্তারা। উত্তরবঙ্গের আইজি দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, তাঁরা কেএলও-র বিষয়ে নজরদারি রাখছেন। সম্প্রতি এক জন ধরাও পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “যে ধরা পড়েছিল, তাঁর নাম পিন্টু?” পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এ কথাতেই স্পষ্ট, বিষয়টিতে তিনি ওয়াকিবহাল।’’ জঙ্গি-জীবন ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরা সাত-আটশোজনকে তাঁর সরকার চাকরি দিয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে পুলিশ বিভাগের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন বৃদ্ধির অনুরোধ জানান হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিদের একাংশ। তাঁদের কথায়, পারিশ্রমিক কম হওয়ায় ও বাড়ি থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরে ডিউটি থাকায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। আলিপুরদুয়ারের কয়েক জনও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার ও হোমগার্ডের চাকরির আবেদন জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy