গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সিপিএম-কংগ্রেসকে তিনি পাশে পেতে চান। বিজেপিকে রুখতে ধরতে চান তাদের হাত। বুধবার বিধানসভায় এমন মন্তব্যই করতে শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে। যাঁদের নাম করে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন, সভার মধ্যেই সেই আব্দুল মান্নান বা সুজন চক্রবর্তীকে হাত নেড়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে মমতার প্রস্তাব খারিজ করতেও দেখা যায়। সুজনবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘নো চান্স।’’ সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতে তৃণমূলের তরফে বিধানসভায় অভিযোগ তোলা হল, মমতার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তৃণমূলনেত্রী এমন কথা বলেননি। সংবাদমাধ্যম ভুল খবর করেছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ‘পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন’ এনে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় এদিনের বিভিন্ন সংবাদপত্র পড়ে শোনান। তিনি দাবি করেন, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন বিধানসভায়, তার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ভুল খবর করেছে। তাপস যখন এ সব বলছেন, তখন বিরোধী বেঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। তাদের মতে, এই মুহূর্তে কোথাও কোনও ঘটনা, সভাকে তা জানানোর জন্য পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন আনা হয়। খবরের কাগজ পড়ে শোনানোর জন্য নয়। এর পরেই বচসা বাধে দু’পক্ষের। শুরু হয় প্রবল হট্টগোল। বিরোধীরা ওয়াকআউট করে সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
এর পরে বিধানসভাতেই সাংবাদিকবৈঠক করেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। সেখানে তিনি দাবি করেন, সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সর্বৈব সত্য। আব্দুল মান্নান এবং তাঁর উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘একসঙ্গে আসা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন বলেও এ দিন জানিয়েছেন সুজনবাবু। সংবাদমাধ্যমে কোনও বিকৃত খবর পরিবেশিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সুজনের কথায়, ‘‘যা ঘটেছে, যা উনি বলেছেন, সেটাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোথাও কোনও ভুল খবর প্রকাশ হয়নি।’’ একই সঙ্গে সুজন বলেন, ‘‘কাল জানিয়ে দিয়েছিলাম, আজও বলছি, এ রাজ্যে বিজেপির উত্থানের জন্য যিনি দায়ী, তাঁর হাত ধরা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ মমতার নাম না করে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘উনি আসলে স্বীকার করে নিলেন যে তিনি আর একার শক্তিতে বিজেপিকে হারাতে পারবেন না।’’ একই কথা গতকাল শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মুখে।
আরও পডু়ন: ‘সরকারি টাকার অপচয় রোধের অপব্যাখ্যা হচ্ছে’, কাটমানি-বার্তা নিয়ে দাবি মমতার
আরও পড়ুন: ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে হামলা-বিক্ষোভ বাড়িতে, ঝোলানো হয় তালা, দেহ মিলল তৃণমূল কর্মীর
বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনার জবাবি বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘মান্নান ভাই (কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান), সুজনবাবু (সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী), আমাদের একসঙ্গে আসা দরকার।’’ আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী যদিও সেই সময় মাথা ঝাঁকিয়ে, হাত নেড়ে মমতার প্রস্তাব কার্যত খারিজ করে দেন। হইচইয়ের মধ্যে সুজনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘নো চান্স।’’ দিল্লিতে পরে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও এই সুরেই প্রতিক্রিয়া জানান। তবে এ দিন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগে দলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান, তার পর দেখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy