মালদহের প্রশাসনির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মালদহে গিয়ে আম নিয়ে নিজের শিল্পভাবনা প্রশাসনিক কর্মকতাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনালেন আমের রকমারি ‘রেসিপি’ও। তাঁর পদ্ধতি অনুসরণ করে আমের বিবিধ খাদ্যবস্তু তৈরি করলে ব্যবসায়ীদের লাভ হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মালদহে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তিনি মালদহের আম উৎপাদকদের এই সুমিষ্ট ফলকে কাজে লাগিয়ে লাভের পথ দেখিয়েছেন। বলে দিয়েছেন আম দই এবং আম মিষ্টি তৈরির প্রণালী।
মালদহের আম রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশেই বিখ্যাত। সেই আমকে কাজে লাগিয়ে ‘ম্যাঙ্গো সুইট’ গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার শিল্প নিয়ে আলোচনার সময় তিনি মালদহের প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমরা যেমন শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচা নিয়ে ‘ল্যাংচা হাব’ করেছি, সীতাভোগ, মিহিদানা নিয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমন তোমরা একটা ম্যাঙ্গো সুইট কেন করছ না?’’
বিষয়ে বিশদে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘দইয়ের ভিতর আম দিয়ে ‘ম্যাঙ্গো দই’ তৈরি করা হয়। ম্যাঙ্গো দই লোকে ভীষণ পছন্দ করে। তা ছাড়া, আমের খোসা ছাড়িয়ে ফলের ভিতরের অংশ দিয়ে তৈরি করা যায় আম মিষ্টি। আমের সঙ্গে ছানা জাতীয় কিছু মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করতে হবে। রসকদম্ব যেমন খুব বিখ্যাত, এটাও তেমন।’’
মালদহের বাসিন্দারা আম দই এবং আম মিষ্টি কিনবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মালদহের এই বিশেষ মিষ্টান্ন বিশ্ববাংলা সেক্টরেও পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বিশ্ববাংলায় এর স্টল দেওয়া হবে আলাদা করে। শহরের বিভিন্ন শপিং মলেও মালদহের আম দই এবং আম মিষ্টির স্টল দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ‘পথসাথী’ এবং ‘কর্মতীর্থ’-এর মতো সরকারি প্রকল্পগুলিকেও কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy