দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
হিমঘরের একটি চেম্বারে গ্যাস ‘লিক’ করে আলুতে পচন ধরে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন দফতর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ওই হিমঘরকে। তার পরেও কেন তা দেওয়া হয়নি, বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভায় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার চিঠি দেন মেমারির একাধিক গ্রামের ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, এই মরসুমে উৎপাদিত আলু স্থানীয় হিমঘরে রাখা হয়। ২১ মে হিমঘর খোলার পরে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের ‘গাফিলতিতে’ আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই কোল্ড স্টোরেজের মালিকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ব্যাপারগুলো জেলা প্রশাসনের দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।’’ কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকেও বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন তিনি।
কৃষি উপদেষ্টা ও জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, হিমঘর কর্তৃপক্ষ বস্তা পিছু ন’শো টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরে, হাই কোর্টে মামলা করেন। হাই কোর্ট উপযুক্ত জায়গা থেকে দামের মূল্যায়ন করার কথা বলে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, হাই কোর্ট ভাল করে সওয়াল করতে হবে। এর পরেই জেলাশাসককে তিনি বলেন, ‘‘তোমার কাছে ৬৫ দিন সময় একটা গরিব চাষির কাছে ৪৬৫ দিন হয়ে যায়। সাত দিনের মধ্যে যা করার করতে হবে। এই জায়গাটা শুধু বসে থেকে আরাম করার জন্য নয়।’’
ওই হিমঘরে সাড়ে তিন হাজার চাষির এক লক্ষ ২০ হাজারের মতো আলুর বস্তা ক্ষতির মুখে পড়েছে। রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মানা হবে।’’ কৃষি ও কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের দাবি, ‘‘আমাদের দফতর চাষিদের পক্ষেই সব ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
ওই হিমঘরের মালিক সুপ্রকাশ ভট্টর বিকেলে বলেন, ‘‘হাই কোর্টে রয়েছি। যা বলার, পরে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy