মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাদ্রিদ সফরে শনিবার সরকারি কোনও কর্মসূচি ছিল না। সেখানে লেখা ছিল ‘হলি ডে’। কিন্তু দিদির অভিধানে ‘ছুটি’ বলে কিছু লেখা নেই। শুক্রবারই জানা গেল, দিদি শনিবার যাচ্ছেন সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ও ফুটবল পরিকাঠামো দেখতে যাবেন তিনি। সঙ্গে যাবেন দাদা, অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিষ্ঠা ১৯০২ সালে। ১২১ বছরের ক্লাবটির দোর্দণ্ডপ্রতাপ জানে গোটা ফুটবল দুনিয়া। তাদের ট্রফি ক্যাবিনেট ঝলমলে করে রেখে ৩৫টি লা লিগা। সঙ্গে ১৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তাদের বলা হয় ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাদের কয়েক কোটি সমর্থক। শুধু ফুটবল নয়, তার বিপণনকেও অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে এই স্প্যানিশ ক্লাবটি।
মমতার মাদ্রিদ সফরের উদ্দেশ্যই, বাংলায় লগ্নি আনা। তার মধ্যে ফুটবলের উন্নতিও রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে লা লিগার ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার তেভাজ স্বয়ং। তিনিও জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই লা লিগা বাংলায় অ্যাকাডেমি করার ব্যাপারে অগ্রসর হবে। স্পেন সফরে ফুটবল যে মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম বিষয়, তা বোঝা গিয়েছে সফরে প্রতিনিধি দল দেখেই। যেখানে রয়েছেন কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের কর্তাও।
রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবিউ নতুন করে নির্মিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই নতুন মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলেছে রিয়াল। নবকলেবরে সেজে ওঠা সেই স্টেডিয়ামের ছাদ প্রয়োজন মতো খোলা-বন্ধ করা যায়। শুধু তাই! মাঠও চলে যায় মাটির নীচে। স্টেডিয়ামটিকে যখন বাণিজ্যিক কারণে ভাড়া দেওয়া হবে, তখন পৃথক একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। মাঠের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই তা ভাঁজ করে ঢুকে যাবে মাটির নীচে। সেখানে জল, অতিবেগনি রশ্মি দিয়ে সতেজ রাখা হবে ঘাস। নতুন সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে এখন একসঙ্গে ৮৫ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারেন।
সেই মাঠই শনিবার দেখতে যাচ্ছেন দিদি ও দাদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy