মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় আসতে মানা বন্দুকধারী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হল পুরনো মালদহের বন্দুকধারী পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীকে। বুধবার সকালে ওই বৈঠক। মঙ্গলবার পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতি তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতির একটি ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারে বসে বন্দুক হাতে নিজস্বী তুলেছেন তিনি। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেই ছবিটি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাঁর দায়দায়িত্ব নিয়ে। জেলা সফরে এখন মালদহেই রয়েছেন দলের প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই সময় এই ছবি ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো ‘অস্বস্তি’তে তৃণমূল। ‘হতবাক’ ব্লক আধিকারিক। এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যাতে তাঁকে ঘিরে নতুন করে কোনও বিতর্ক না হয়, সেই কারণে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নিচুতলার খোঁজখবর নেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠকের এক দিন আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে থেকে অযাচিত বিতর্কে জড়ানোয় তাঁকে বৈঠকে হাজির থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। এমন ঘটনায় যে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেনি, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নেতাদের বক্তব্যে। রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক তথা মালদহ জেলার দীর্ঘদিনের নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের কাজ বাঞ্ছনীয় নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা না আসল, সেটা পুলিশ অনুসন্ধান করে বলবে। তবে আমি যেটা ছবিতে দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে এটা আসল আগ্নেয়াস্ত্র।’’
মালদহ জেলার এক শাসকদলের বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতার আস্ফালন দেখানো পছন্দ করেন না। যে ছবিটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তাতে ক্ষমতার আস্ফালন রয়েছে বলেই আমার মনে হয়। তাই প্রশাসন যদি মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতির নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তা হলে তা সঠিক কাজ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy