প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে পড়ুয়াদের সক্রিয় রাখা যায়, সেটা মাথায় এসেছিল উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজি রুনা লায়লা খানমের।
প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির দাপট তখন এমনই যে, বাড়ির বাইরে যাওয়া বারণ ছিল। স্কুল-কলেজ ছিল বন্ধ। বাড়িতে বসে পড়াশোনা যতটুকু না-করলেই নয়, তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বা মানসিক অবস্থা ছিল না বহু ক্ষেত্রে। সেই দুঃসময়ে গ্রাম-মফস্সলের ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় রাখতে প্রাণপাত করেছেন তাঁরা। করোনাকালের এমনই ৯২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ‘সৈনিককে’ সম্মান জানাল রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)।
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে পড়ুয়াদের সক্রিয় রাখা যায়, সেটা মাথায় এসেছিল উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজি রুনা লায়লা খানমের। স্কুলপড়ুয়াদের জন্য ‘স্কুল কানেক্ট’ প্রোগ্রাম আছে ম্যাকাউটের। সেখানে যাতে তাঁর স্কুলের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করে, সে-দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন ওই পিরধান শিক্ষিকা। কী ভাবে বাড়ির ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে গয়না বানানো যায়, অনলাইনে তা-ও শিখিয়েছেন পড়ুয়াদের। বুধবার তিনি জানান, স্থানীয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যবস্থায় পড়াশোনা চালানোর তালিম দেওয়ার জন্য আশপাশের বিভিন্ন স্কুলের প্রধানদের নিয়ে তৈরি করেন ‘মিশন মাধ্যমিক’ নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধনচন্দ্র ঘোষ পড়ুয়াদের লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিক সুস্থতা অটুট রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ারা যাতে পাঠবিমুখ হয়ে না-পড়ে, সে-দিকে নজর রেখেছিলেন চাকদহ কামালপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রমেনচন্দ্র ভাওয়াল। উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমের বাজিতপুর হাইস্কুলের প্রশান্ত দাসেরাও একই রকম ব্রত নিয়েছিলেন। কলকাতা বইমেলায় তাঁদেরই সম্মান জানাল ম্যাকাউট। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, ‘‘এই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কুর্নিশ। তাঁদের সাহায্য ছাড়া করোনাকালে পড়ুয়াদের মূল স্রোতে ধরে রাখা যেত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy