—প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্ন স্কুলকেই করতে হবে, নির্দেশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। শিক্ষকদের প্রশ্ন, শূন্যপদ পূরণ হয়নি। বেশ কিছু স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকই নেই। তা হলে প্রশ্ন কী ভাবে হবে?
প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরেই স্কুলে শূন্যপদ থাকায় প্রশ্ন তৈরি করা নিয়ে সমস্যাটা ছিল। যত দিন যাচ্ছে, তা বাড়ছে। কারণ উৎসশ্রীর সাহায্য নিয়ে গ্রামের শিক্ষকেরা কলকাতায় চলে আসায় গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকই নেই। অভিযোগ, যেখানে শিক্ষকেরা অবসর নিচ্ছেন, সেখানে নতুন করে নিয়োগও হচ্ছে না।
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এবিটিএ-সহ বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্ন করত। স্কুল তা কিনে নিত। কিন্তু সেই প্রশ্ন নিয়ে কিছু অভিযোগ ওঠায় বছর কয়েক আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক সংগঠনকে দিয়ে প্রশ্ন করার নিয়ম বন্ধ করে দেয়। জানিয়ে দেয়, স্কুলগুলো নিজেরাই টেস্টের প্রশ্ন করবে।
ঝাড়গ্রামের চাদাবিলা এসসি হাই স্কুলের শিক্ষক সুদীপ্ত জানা বলেন,‘‘আমাদের স্কুলে বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক নেই। দু’জন আংশিক সময়ের শিক্ষক খুব কম টাকায় বাংলা পড়ান। তাঁদের দিয়েই প্রশ্ন করানো ছাড়া উপায় নেই।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিবপুর পল্লিমঙ্গল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল মাইতির কথায়, ‘‘আমাদের স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক নেই। আমি বিজ্ঞানের শিক্ষক। আমাকেই কোনও রকমে অঙ্কের প্রশ্ন করতে হবে।’’
অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আংশিক সময়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরাই প্রশ্ন করছেন। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নের গোপনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের স্কুলের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন থাকে, তাঁদের অনেকেই প্রচুর প্রাইভেট টিউশন পড়ান। মাধ্যমিক শিক্ষা ও শিক্ষক সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘স্কুলের নিজস্ব প্রশ্ন করার সিদ্ধান্ত ভাল। কিন্তু এর জন্য বিষয়ভত্তিক শিক্ষক দরকার। অনেক সময়ই তা না থাকায় ভূগোলের প্রশ্ন ইতিহাসের শিক্ষক করছেন, অঙ্কের প্রশ্ন বিজ্ঞানের শিক্ষক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy