প্রতীকী ছবি।
স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবস এ বার ‘যথাযথ ভাবে’ পালনের পথে যেতে চায় মাদ্রাসাগুলি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোনও ফরমান নয়।। দারুল উলুম দেওবন্দের পরামর্শেই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে মাদ্রাসায়।
দারুল উলুম দেওবন্দে বসেছিল ‘রাবেতায়ে মাদারিসে ইসলামিয়া আরাবিয়া’র (মাদ্রাসা সমন্বয় সমিতি) সর্বভারতীয় সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন দেওবন্দের উপাচার্য আবুল কাসেম নোমানি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি কারী মহম্মদ উসমান, ‘হাদিস’ শাস্ত্র বিশারদ সৈয়দ আহমদ পালানপুরী প্রমুখ। ওই সম্মেলনেই দেওবন্দের উপাচার্যের পরামর্শ, প্রতি বছর মাদ্রাসায় যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে হবে। সম্মেলন থেকে যে ৮ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে: মাদ্রাসায় অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনার উপরে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে রেজিস্টার রাখতে হবে। মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বদের।
সমন্বয় সমিতির ব্যাখ্যা, মাদ্রাসাকে ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করে কিছু ‘দুষ্টচক্র’ অভিসন্ধি পূরণ করতে চাইছে। তাই সতর্ক হতে হবে। ‘রাবেতায়ে মাদারিসে’ বা সমন্বয় সমিতির বাংলা শাখার রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুলা চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘দেশের সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও আইন-কানুনের প্রতি আমরা সর্বদাই শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে ধর্মনিরপেক্ষ নেতৃত্বের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।’’ অতীতে খিলাফত হলের সভায় গাঁধীজিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বলে জমিয়তে মর্যাদা দিয়েছিল এবং তাঁর হাতে তৎকালীন এক লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিল, সেই ইতিহাসও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy