মদন মিত্র।
ফের নেটমাধ্যমে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলে যখন অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রসঙ্গে কুণাল-কল্যাণ বিতর্ক তুঙ্গে, যখন শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ আসছে কিছু বলার থাকলে দলের ভিতরে বলা হোক, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে এলেন মদন। এবং প্রশ্ন তুললেন, দলের মধ্যে কাকে, কোথায় বলতে হবে। তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে?
শনিবার সন্ধ্যাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে বাগ্যুদ্ধরত নেতাদের তৃণমূলের মহাসচির পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও মন্তব্য করলে তা বরদাস্ত করবেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তিনি বলেন, “কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রকাশ্যে একের পর এক মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলের মধ্যে বলুন।
পার্থর সেই বৈঠকের পরই শনিবার ফেসবুক লাইভে আসেন কামরাহাটির বিধায়ক মদন। তিনি বলেন, “শুনছিলাম, যার যা বিক্ষোভ তা দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, দলের মধ্যে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে। কারণ কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনে একমাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।”
পশ্চিমবঙ্গের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখতে পাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মদন। কিন্তু সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিজেরটুকু রক্ষা করারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মদন বলেন, “কিন্তু যদি কেউ মনে করেন চমকে ধমকে দলে জায়গা করে নেব, ভুল করছেন। তৃণমূল মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক আমার ভাই, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। হিসেবে যেন ভুল না করি।”
এখন এক মাস সত্যি কিছু করা উচিত নয়। অভিষেকের সঙ্গে এক মত বলেও জানিয়েছেন মদন। এর পরই তিনি বলেন, “যাঁরা ভাবছেন অভিষেকের কথা মমতার পছন্দ হচ্ছে না। তাঁর পথ অনুসরণ করেই চলছেন অভিষেক। আজ যেটা অভিষেক বলছেন, ৩০ বছর আগে মমতা বলতেন।” মদন জানান, ১৫ জানুয়ারি পর থেকে কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অনুষ্ঠানে তিনটে ছবি থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক এবং সৌগত রায়ের। এর বাইরে কারও ছবি থাকবে না বলেও জানিয়েছেন মদন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy