—ফাইল চিত্র।
মদন মিত্রকে সতর্ক করল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। গত কয়েকদিন কল্যাণ-কুণাল বাকযুদ্ধে রাশ টানতে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক।
শনিবার নেটমাধ্যমে প্রথম বার দলীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশে মুখ খোলেন মদন। তিনি বলে বসেন, ‘‘আগামী দিনে হয়তো অর্জুন সিংহও দলে এসে মুখপাত্র হয়ে যাবেন।’’ তাঁর এমন মন্তব্যে বিরক্ত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার ফের মদনবলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।’’ মদন প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি দলের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু কিছু বলার থাকলে তা জানাব কাকে?’একই সঙ্গে সরাসরি পার্থকে কটাক্ষ করে মদন বলেছিলেন, ‘‘তাই উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে দিয়ে আসতে হবে, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।’’তাঁর এমন মন্তব্যের পরেই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সোমবার জানা যায়, দলের এক শীর্ষ নেতা মারফত সতর্ক করা হয়েছে কামারহাটির বর্ষীয়ান বিধায়ককে। সূত্রের খবর, তাঁকে জানানো হয়েছে, নেটমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যম, কোনও জায়গাতেই দলীয় কোনও বিষয়ে মুখ খোলা যাবে না। যদিও, কোনও ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে তা দলের অভ্যন্তরেই জানাতে হবে। দল প্রসঙ্গে বাইরে করা মন্তব্য যে ভালভাবে নেওয়া হয়নি, তাও মদনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘দলে থাকব অথচ দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মানব না, এমনটা চলবে না। সবাইকেই যে দলের নির্দেশ মেনে চলতে হবে, তা সবাইকে বুঝতে হবে।’’ তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে মদনের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত, নেটমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন মদন। কিন্তু শনিবার নেটমাধ্যমে দলীয় নীতি নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, তা যে দল ভাল চোখে দেখেনি তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মদনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy