ছবি: পিটিআই।
আমপানের থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে ইয়াস ক্ষতিপূরণের জমা পড়া আবেদনপত্রের যাচাই-প্রক্রিয়ায় বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তবে ক্ষতিপূরণের সময় পিছোচ্ছে না। তার বদলে সময়ের আগেই আবেদনপত্র যাচাই করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনগুলির সূত্রের খবর, যে হারে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা পড়ছে, তাতে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ ভাবে যাচাই প্রক্রিয়া চালানো কঠিন হত বলে সময়ের আগেই সেই কাজ শুরু হয়েছে।
‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচিতে ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩-১৮ জুনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র গ্রহণ করবে সরকার। ১৯-৩১ জুনের মধ্যে জমা পড়া আবেদনগুলি যাচাই করা হবে। ১-৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত যে তথ্য তাতে, ইতিমধ্যেই মোট প্রায় ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার মানুষ ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনপত্র জমা করেছেন। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তা যথাক্রমে প্রায় ৮০ হাজার এবং ১ লক্ষ ৬২ হাজার। এ ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪ হাজার ৫৫৯, উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ৫০ হাজার, হাওড়ায় প্রায় ১৯ হাজার, হুগলিতে ৩০২ এবং বীরভূমে ২৫২টি ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, এই বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র যাচাইয়ের জন্য ১৩ দিন নেহাতই কম। তাই আগেভাগে দল গড়ে যাচাইয়ের কাজ চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৩৯টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৩৫টি যাচাই দল কাজ করছে। একেকটি দলে রয়েছেন তিন-চারজন করে অফিসার। প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, আমপানের পরে আবেদনপত্র যাচাই করার সময় খুব অল্প ছিল। তাই নানা ভুলভ্রান্তি থেকে গিয়েছিল যা থেকে বিতর্ক তৈরি হয়। তাই এ বার কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপের ব্যবহারও ক্রমে শুরু হচ্ছে জেলাগুলিতে। আবেদনপত্রের বিবরণ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অফিসারেরা ক্ষয়ক্ষতির ছবি জিয়ো-ট্যাগ করে অ্যাপে আপলোড করবেন। তার ভিত্তিতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বেছে নেবে প্রশাসন। ছবি এবং জিয়ো-ট্যাগ একসঙ্গে থাকার ফলে ভুয়ো তথ্য আটকানো যাবে বলেও মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy