—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ৪২টি লোকসভায় ৭৮,৭৯৯টি বুথে গণতন্ত্রের মহোৎসবে অংশ নেবেন আমজনতা। সব বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা নিয়ে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নিরাপত্তার ভার কেন্দ্রীয় বাহিনী, না কি রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে— তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি কমিশন। এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই সশস্ত্র পুলিশ ব্যবহার নিয়ে প্রস্তুতি সারছে রাজ্য প্রশাসন। এ ব্যাপারে কমিশনের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে বলেও খবর।
অন্ধ্রপ্রদেশে ভোটের দায়িত্বে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় ৩০-৩১ হাজার সশস্ত্র পুলিশ ব্যবহার করা হতে পারে। তার মধ্যে ২৫-২৬ হাজার রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী এবং ৫-৬ হাজার কলকাতা পুলিশ থাকতে পারে। তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, এখনই সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। পর্যালোচনা চলছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার হবে। এক এক দফায় এক এক সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ ব্যবহার করা হবে।
তবে কোন ধরনের সশস্ত্র পুলিশ ব্যবহার হবে, তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কমিশনের আলাপ-আলোচনা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, দাগবিহীন, নিরপেক্ষ অফিসারদের ব্যবহার করতে বলেছে কমিশন। অর্থাৎ, অতীতে কোনও কারণে কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, তাঁকে সরিয়ে রাখার কথা বলছে কমিশন। তবে ভোটে কোন ধরনের কর্মী-অফিসারদের ব্যবহার করা হবে, শুধু তা নিয়েই পর্যালোচনা করেই ইতি টানেনি কমিশন। বলা হয়েছে, এক জেলার থাকা পুলিশ কর্মীদের অন্য জেলায় পাঠাতে হবে। তবে তাঁদের লাগোয়া জেলা এমনকি গত কয়েক বছরে কাজ করে আসা জেলাতে না পাঠাতেও বলা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে সোমবারই বলেন যে, সব পুলিশকর্মী পক্ষপাতদুষ্ট নন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব এখনও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিশ্চিত করেননি। দুবেও সব ধরনের বাহিনী ব্যবহারের কথাই বলেছেন। ফলে ভোটে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের ব্যবহার অনেকটাই স্পষ্ট হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy