পাশাপাশি: পিরের দরগায় মৌসম নুর ও সাহেদা সালেহা নুর। মালদহের পাণ্ডুয়ায়। নিজস্ব চিত্র
দুই সহোদরা। মালদহের পাণ্ডুয়ায় মাগডুম পিরবাবার দরগায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দোয়া করলেন। তার পরে কাছেই মায়ের সমাধির সামনেও গিয়ে বসে রইলেন বেশ কিছু ক্ষণ। এক জন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর, অন্য জন তাঁর দিদি সাহেদা সালেহা নুর ওরফে লিজু। সাহেদার স্বামী ইশা খান চৌধুরী উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী, অর্থাৎ মৌসমের প্রতিদ্বন্দ্বী।
দু’জনেরই ঠিকানা গনিখান চৌধুরীর কোতোয়ালির হাভেলি। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতার কথায়, মালদহের রাজনীতি এখনও নির্ধারণ করে এই ঠিকানাই। তাই এই পরিবারকে নিয়েই টানাটানি সব দলের। এ বারও কোতোয়ালির বাড়িটি থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন গনির ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), গনির ভাগ্নী মৌসম এবং গনির ভাইপো ইশা। রাজনীতির ময়দানে লড়াই যাই হোক না কেন, কোতোয়ালি পরিবারের অন্দরে কিন্তু চিড় ধরেনি। সেই সম্পর্কের ছবি আবারও উঠে এল পিরবাবার দরগায় উরস উৎবে।
রবিবার বিকেল থেকে মালদহের গাজল ব্লকের পাণ্ডুয়ায় মাগডুম পিরবাবার দরগাকে ঘিরে শুরু হয়েছে উৎসব। সেই রাতেই পুরাতন মালদহের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট প্রচার শেষ করে পিরবাবার দরগায় পৌঁছে যান মৌসম। রাত সাড়ে ন’টার দিকে সেখানে যান মৌসমের দিদি লিজু। তারপর দুই বোন মিলে এক সঙ্গে পিরবাবার সমাধিতে চাদর চড়ান। দোয়াও করেন। তার পরে যান মৌসম ও লিজুর মা রুবি নুরের সমাধিতে। রাজনীতির ময়দানের লড়াইয়ের লেশমাত্র চিহ্ন ছিল না দুই বোনের মুখে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
লিজু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়।” মৌসমের কথায়, “রাজনীতিতে মতাদর্শের ফারাক থাকতেই পারে। রাজনীতির ময়দানে লড়াইও হতে পারে। কিন্তু পরিবারের সম্পর্ক তাতে ভাঙবে কেন?’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই আমরা দুই বোন মিলে উরস উৎসবে গিয়ে চাদর চড়ানোর পরে দোয়া করি। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”
মৌসমকে সমর্থন করে ইশার বক্তব্য, “রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি, পরিবারের জায়গায় পরিবার। কোতোয়ালি হাভেলি এটাই মেনে চলে।” এ বার কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন ডালুবাবু। তিনিও জানান, কোতোয়ালির পরিবার স্নেহের বন্ধনেই বাঁধা রয়েছে, রাজনীতি তাতে প্রভাব ফেলে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy