Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

মৌসম, খগেনকে কটাক্ষ ইশার 

হবিবপুর বিধানসভায় টানা তিনবার সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হন খগেন মুর্মু। তিনি সিপিএম ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে।

প্রস্তুতি: ধামসা নিয়ে প্রচারে নামলেন ইশা। বুধবার, হবিবপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

প্রস্তুতি: ধামসা নিয়ে প্রচারে নামলেন ইশা। বুধবার, হবিবপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হবিবপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৬
Share: Save:

এক জন টানা তিনবারের বিধায়ক। অন্য জন দু’বারের সাংসদ। আর দু’জনেই দলত্যাগ করে এ বার লোকসভা নির্বাচনে অন্য দল থেকে লড়াই করছেন। বুধবার বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসাবে পরিচিত মালদহের হবিবপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে পিসতুতো বোন মৌসম নুর ও বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুকে কটাক্ষ করলেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। হবিবপুরের সেচ, পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ করে সরব হন তিনি। যদিও ইশাকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি শিবির।

হবিবপুর বিধানসভায় টানা তিনবার সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হন খগেন মুর্মু। তিনি সিপিএম ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁর মতো দলবদল করেছেন ওই কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ মৌসম নুরও। তিনিও কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই কেন্দ্র থেকে খগেন বিজেপি এবং মৌসম তৃণমূলের টিকিটে এ বার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছেন। আর দুই প্রার্থীর দলবদলকে হাতিয়ার করে প্রচারে ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী।

এ দিন সকাল থেকে হবিবপুরে ভোট প্রচার করেন তিনি। হবিবপুরের জগজ্জীবনে নিজের সমর্থনে দেওয়াল লেখেন ইশা। তার পরে কর্মিসভা থেকে শুরু করে মিছিলও করেন। তিনি বলেন, ‘‘মৌসম আমার বোন। ও কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। তৃণমূল রাজ্যে আট বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু হবিবপুরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। হবিবপুরের উন্নয়নে কোনও কাজ করেননি এলাকার তিনবারের বিধায়ক খগেন বাবু। এখন দল পাল্টেছে দু’জনই।” কিন্তু তাঁদের দল বদলের আগে বা পরে কখনওই সেচ, পানীয় জল, রাস্তার সমস্যা মেটেনি বলে দাবি করেছেন ইশা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উত্তর মালদহে প্রার্থী হওয়ার পরে সর্বত্র ছুটছেন ইশা। হবিবপুরে দ্বিতীয় বারের জন্য ভোট প্রচার করলেন তিনি। এই হবিবপুরে বাড়তি নজর দিচ্ছে কংগ্রেস শিবির। কারণ, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুরের তিনটি জেলা পরিষদ দখল করেছে বিজেপি। বিজেপি একক ভাবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে। ফলে হবিবপুর নিয়ে আশাবাদী বিজেপি শিবির। ইশা খান বলেন, “মালদহ কংগ্রেসের মাটি। ভোট প্রচারে মানুষের সমর্থন দেখে মনে হচ্ছে সাংসদ দলবদল করেছেন ঠিকই, তবে মানুষ দলবদল করেননি।” এ প্রসঙ্গে মৌসম অবশ্য বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করতে দলবদল করেছি। মানুষ তা বুঝে গিয়েছেন।’’ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। ভোটের পরে তা প্রমাণ হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE