ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দফা ভোটের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নানা রকম আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ৬ দফাতেই ভোটের দিন বাস্তব চিত্র দেখা গিয়েছে অন্য রকম। শেষ পর্বের ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেস তাই কমিশনের ভরসায় না থেকে জনতার কাছেই আবেদন জানাল বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড-শো ঘিরে কলকাতায় তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ এবং বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুরের ঘটনার জেরে শেষ পর্বের প্রচার-পর্ব এক দিন আগেই শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার পাশাপাশি কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, ‘অন্যায় ভাবে’ ৩২৪ ধারা বাংলায় প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কমিশন সব সময় বলছে, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দু’দলের সংঘর্ষের জন্য এ ভাবে যে প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল, তা নিয়ে কি কমিশন সব দলের মত নিয়েছিল?’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘প্রচারে নিষেধাজ্ঞা হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হওয়া উচিত। অথচ কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরের দিন বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর দু’টি সভা করতে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হল!’’
বিজেপি এবং তৃণমূল শেষ দফার ভোটের আগে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জড়ো করছে, এই অভিযোগ নিয়ে এ দিনও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবের কাছে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কিছু সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিজেপির সুবিধার জন্য। আবার কিছু সিদ্ধান্ত হচ্ছে তৃণমূলের সুবিধার জন্য। ভোটারের সুবিধার কথা কমিশন ভাবছে না!
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রদীপবাবু উদাহরণ দিয়েছেন, ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে কমিশন বলেছিল ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিমের (কিউআরটি) নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও আধিকারিকের হাতে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল। তা ছাড়া, ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন বুথ দখল, গোলমালের বহু অভিযোগ সত্ত্বেও কিউআরটি-কে ঘটনাস্থলে সময়মতো দেখা যায়নি। এ বার সপ্তম দফার ভোটের আগে কমিশন আবার জানিয়েছে, কিউআরটি পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য পুলিশের হাতে। প্রদীপবাবুর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে ছাড় দিয়ে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হল। এ বার রাজ্য পুলিশের হাতে কিউআরটি দিয়ে তৃণমূলকে খুশি করা হল! অন্য কোনও দলের কোনও মতই নেওয়া হল না।’’
প্রচারের শেষ দিকে উত্তর ও দক্ষিণের দুই কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ শাহিদ ইমাম ও মিতা চক্রবর্তীর হয়ে বুধবার রাতে রোড-শো করে গিয়েছেন রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। প্রচার বন্ধ হয়ে গেলেও আজ, শুক্রবার বিধান ভবনে আসার কথা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সুস্মিতা দেবের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy