প্রতীকী ছবি।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে ব্যক্তি আক্রমণ করায় নদিয়ার বিজেপি নেতা মহাদেব সরকার টানা ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এ বারের ভোটে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে রাজ্যে এই প্রথম কারও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন।
শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে বলবৎ হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে শনিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সোমবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ভোট, তার প্রচার শেষ হচ্ছে ফলে শনিবার বিকেলেই। ফলে এ যাত্রায় মহাদেব আর প্রচারে যেতে পারছেন না। যদিও তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, প্রচার যা হওয়ার তা হয়েই গিয়েছে। এই দু’দিন উত্তর জেলা সভাপতি মহাদেব বরং সাংগঠনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। মহুয়া অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞাকে তাঁর ‘নৈতিক জয়’ হিসেবেই দেখছেন।
গত ২২ এপ্রিল কৃষ্ণনগরে অমিত শাহের জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে মহাদেব দাবি করেন, ‘‘মহুয়া বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। বাংলার সংস্কৃতি ভুলে গিয়েছেন। তিনি রাতে রঙিন পানীয় খান।’’ বিষয়টি জেনেই মহুয়া কোতোয়ালি থানা এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মঙ্গলবার কমিশন মহাদেবকে শো-কজ় করেছিল। বুধবার তিনি তার উত্তর দেন। সেই দিনই মহুয়া সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান, যাতে মহাদেব প্রচার করতে না পারেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, শো-কজ়ের জবাবে মহাদেব তাঁর বলা কথা অস্বীকার করেননি। নির্বাচনী বিধিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে প্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ চলবে না। তাই মহাদেবের মন্তব্যের নিন্দা করে কমিশন তাঁর সমস্ত প্রচার, সাক্ষাৎকার, গণমাধ্যমে কথার উপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
সন্ধ্যায় মহাদেব বলেন, “উত্তর যা দেওয়ার ছিল, কমিশনকে জানিয়েছি। এ ভাবে চক্রান্ত করে আমাকে আটকে মহুয়া নিজের হার আটকাতে পারবেন না।” আর মহুয়া বলেন, “এতেই প্রমাণ হয়ে গেল ওদের সংস্কৃতি। যারা মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না, তারা মানুষের পাশে থাকবে কী করে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy