শতাব্দী রায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন। —নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগে সিউড়িতে জলকষ্ট নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার খয়রাশোলের প্রচারে গিয়েও একই অভিজ্ঞতা হল তাঁর। স্থানীয় সূত্রে খবর, খয়রাশোলের পাঁচড়া, ময়নাডাল-সহ কয়েকটি গ্রামে বাসিন্দারা শতাব্দীর কাছে এলাকায় জলকষ্ট মেটানোর দাবি জানান। স্মরণ করিয়ে দেন, আগের বারের ‘কথা’ না রাখার। সেই সময় বিদায়ী সাংসদের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে জেলায় ফিরে শতাব্দী খয়ারোশোলে আসেন। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে খয়রাশোলের পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইদিলপুর, মজুরা, পাঁচড়া, আমাজোলা -সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রচার সারেন। কিন্তু পাঁচড়া ঢুকতেই স্থানীয় মহিলারা বিদায়ী সাংসদকে বলেন, ‘‘গ্রামে পুকুরের জল শুকিয়েছে। পানীয় জলের খুব কষ্ট। আপনি কেন কিছু করলেন না?’’ খয়রাশোলের ময়নাজালে গিয়েও গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের সামনে একই বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। স্থানীয় বাসিন্দা বিশেষ করে মহিলারা তাঁর কাছে অনুযোগ করেন, কেন গ্রামে জলকষ্ট মেটানোর জন্য নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তাঁদের গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়া যায়নি। শতাব্দী তাঁদের জানান, সাংসদ হিসাবে তাঁর ক্ষমতা সীমিত। প্রচুর টাকার প্রকল্প তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয়। তখন সভাধিপতি আপাতত গ্রামের জলকষ্ট মেটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
শতাব্দী এর পরে খয়রাশোল, রসা, হয়ে কদমডাঙা গ্রামে যান। সেখানে একটু বিশ্রাম নিয়ে বাবুইজোড় ও পারশুণ্ডি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রচার করেন। তবে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর দাবিতে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের যে দাবি উঠছে, সেটা নিয়ে তিনি অস্বস্তিতে। শতাব্দী বলছেন, ‘‘খয়রাশোলে জলকষ্ট রয়েছে। গভীর নলকুপ দিয়েছি। অথচ ভূগর্ভস্থ জলের স্তর এত নীচে নেমে গিয়েছে ৮০০ ফুট গভীরেও জল পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তিনি জানান, পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে প্রয়োজন নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করার। কিন্তু সাংসদ তহবিল থেকে এত বড় অঙ্কের প্রকল্প গড়া সম্ভব নয়। সকলকে সেটা বোঝানো যাচ্ছে না।
আজ, বুধবারও খয়রাশোলে প্রচার রয়েছে। এই অবস্থায় জলসঙ্কট নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কী ভাবে সামলাবেন, সেটা যে তাঁকে ভাবাচ্ছে, তা ঘনিষ্ঠমহলে মেনেছেন শতাব্দী রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy