
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: ফেসবুক।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে বার্তা দিতে চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন দলের অন্দরে থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না। অভিষেক বলেন, ‘‘বিধায়ক থেকে ব্লক স্তরের নেতাদের আমি বলতে চাই, কাজে যেন শিথিলতা না-আসে। বিজেপি বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬-এর লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা বার বার ওদের গো-হারা হারিয়েছি। আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে আমরা ক্ষমতায় আসব। আমি বলতে চাই, ২১৫টির বেশি আসন আমাদের পেতে হবে। এক ছটাক জমিও কাউকে ছাড়া যাবে না।’’
নেতাজি ইন্ডোরে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র।
দলের শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে এর পর অভিষেক বলেন, ‘‘দলের শৃঙ্খলার বাইরে কেউ যাবেন না। অনেকে সংবাদমাধ্যমে টিকে থাকবেন বলে অনেক কথা বলছেন। এটা করবেন না। আমার কত ক্ষমতা, তা দেখাতে গিয়ে দলকেই আপনারা ছোট করছেন। দলের সঙ্গে যাঁরা বেইমানি করেছিলেন, সেই মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের কিন্তু আমিই চিহ্নিত করেছিলাম। এ বারেও বেইমানদের লেজেগোবরে করার দায়িত্বটা আমি নিলাম। হোয়াট্সঅ্যাপে রাজনীতি না-করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রাস্তায় নেমে কাজ করতে হবে।’’
গত বছর লোকসভা ভোটের পর থেকে অভিষেককে সে ভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তৃণমূলের কর্মসূচিতেও তিনি ছিলেন না। নিজেকে আটকে রেখেছিলেন ডায়মন্ড হারবারে, নিজের লোকসভা এলাকায়। সে প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি লোকসভা ভোটের পর তিন মাস ঘুমোতে পারিনি। মানুষ আমাকে এত ভালবাসা দিয়েছেন, তার প্রতিদান তো দিতে হবে। তার পর আমি ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছি। নেতাদের আমি বলব, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখলে হবে না। জনমুখী কর্মসূচি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
অভিষেকের পর নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে বলতে ওঠেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজ়াদ, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।
বৃহস্পতিবার মঞ্চে ইউসুফ পাঠান। ছবি: সংগৃহীত।
ভাষণ শেষ হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মঞ্চে নিজের আসনে বসেছেন।
দলের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলারক্ষার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কেউ দলের শৃঙ্খলার বাইরে যাবেন না। অনেকে সংবাদমাধ্যমে টিকে থাকবেন বলে অনেক কথা বলছেন। এটা করবেন না। আমার কত ক্ষমতা, তা দেখাতে গিয়ে আপনারা দলকে ছোট করছেন। দলের সঙ্গে যাঁরা বেইমানি করেছিলেন, যেমন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, ওঁদের আমিই চিহ্নিত করেছিলাম। ভবিষ্যতেও বেইমানদের লেজেগোবরে করার দায়িত্ব আমি নিলাম।’’
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁর নাম প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘খবরে দেখাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি আমার নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়, কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। ওদের এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। আমি কথা পাল্টাই না। আগেও বলেছিলাম, কেউ কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে, ফাঁসির মঞ্চে চলে যাব।’’
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘খবরে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমি নাকি বিজেপিতে যাব। খবরের সব মিথ্যা। আমার গলা কেটে দিলে সেই কাটা গলা দিয়েও বেরোবে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘সন্দেশখালি থেকে শুরু করে আরজি কর, বার বার মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বাংলায় চক্রান্ত করা হয়েছে, এখনও চক্রান্ত চলছে। আমরা বুকের রক্ত দিয়ে বাংলাকে আঁকড়ে রাখব।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘এখনও গরিবের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪-এ বলেছিলাম, তিন-চার মাস অপেক্ষা করব। তার পরেও আবাসের টাকা না-দিলে, রাজ্য সরকার বাড়ি করার ব্যবস্থা করবে। ওদের টাকায় আমরা বেঁচে থাকি না। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘অনেক দিন পরে সকলের সঙ্গে দেখা হল। নেত্রী মমতার নির্দেশ গ্রহণ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে সকলে এসেছেন। কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে আমার হোয়াট্সঅ্যাপে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। কিন্তু দেখা হল অনেক দিন পরে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা সকলকে।’’
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে বলতে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে আছেন মমতাও। সভায় উপস্থিত জনগণকে শান্ত থাকতে বলেন মমতা।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কর্মিসভার বৈঠকের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত বক্সী। সভার শুরুতে তিনিই বলছেন। বক্সী জানান, অভিষেক এবং মমতা ভাষণ দেবেন।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে একসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চেই সামনের দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে তাঁদের আলোচনা করতে দেখা গেল। মমতা কিছু বলছিলেন, অভিষেক তা শুনছিলেন।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কর্মিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে। বলছেন সুব্রত বক্সী। তিনি জানালেন, অভিষেক এই সমাবেশে নিজের বক্তব্য জানাবেন।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মহাসমাবেশে পৌঁছোলেন বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁর গাড়ি নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এলেন নেতাজি ইন্ডোরে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমাবেশে আমাদের রাজনৈতিক দিশা দেখাবেন। প্রত্যেকের এলাকায় আমরা পরিষ্কার নির্দেশ পাব। ফলে এর গুরুত্ব অপরিসীম।’’
নেতাজি ইন্ডোরে এখনও তৃণমূলের বৈঠক শুরু হয়নি। মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
বৃহস্পতিবার সকালে নেতাজি ইন্ডোরে এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা একজোট হয়ে আছি, একজোট হয়েই থাকব। সকলে অপেক্ষা করে আছি, দিদি কী বলবেন শোনার জন্য। দিদি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই শিরোধার্য।’’
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কর্মিসভার বৈঠকে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের বৈঠকে এলে সবসময়ই আলাদা অনুভূতি হয়। ভাল লাগছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের স্পিরিট।’’ রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয়ের নাম জড়িয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত।
নেতাজি ইন্ডোরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে সৌগত রায় বলেন, ‘‘দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা শুনতে আমরা এসেছি। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দলের সংগঠন কোন পথে এগোবে, নেত্রী সেই বার্তা দেবেন।’’
নেতাজি ইন্ডোরে প্রবেশের আগে মদন মিত্র বলেন, ‘‘এটা বিশেষ কর্মসূচি, তাই এখানে বিশেষ বিশেষ কথাই বলা হবে। বিশেষ মানুষ এক জনই, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী আসছেন। তাঁরা জানতে চান, ২০২৬-এর আগে কী পরিকল্পনা দলের। রাজ্য এখন প্রায় বিরোধী শূন্য। বাংলা থেকে বিরোধীদের ধুয়ে ফেলার জন্য নেত্রী কিছু কথা বলবেন। আমাদের বুক কাটলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পাওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy