বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা। ছবি: টুইটার থেকে
বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানেও আত্মনির্ভর ভারতের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল ভাষণে মোদী বললেন, আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা চালু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথই। বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলায় বহু শিল্পী তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা পেতেন।’’
কোভিডের জন্য এ বছর পৌষ মেলা হয়নি। বিশ্বভারতীর পডু়য়াদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘‘এই পৌষ মেলায় যে সব শিল্পী আসতেন, তাঁদের খুঁজে বের করে তাঁদের শিল্পকর্মকে অনলাইনে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। বিক্রির জন্য তাঁদের উদ্বুদ্ধ করুন। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যও নিন।’’
প্রধানমন্ত্রী নিজে গুজরাতের নাগরিক। রবীন্দ্রনাথও মাঝেমধ্যে গুজরাতে যেতেন। সে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘‘কবিগুরুর দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাতে থাকতেন বলে সেখানে মাঝেমধ্যেই যেতেন গুরুদেব। গুজরাতের সংস্কৃতি তাঁর ভাল লাগত। আমদাবাদে থাকাকালীনই দু’টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর কিছু অংশও সেখানেই লিখেছিলেন।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মোদীর বক্তব্য:
• আপনারা সবাই সফল হোন, এগিয়ে যান এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলুন
• গুরুদেবের কথা দিয়েই আমরা বক্তব্য শেষ করব, ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল, খোল দ্বার খোল
• ক্ষুধিত পাষাণের কিছু অংশও গুজরাতে থাকাকালীনই লিখেছিলেন
• আমদাবাদে থাকাকালীনই দু’টি কবিতা লিখেছিলেন
• রবীন্দ্রনাথ মাঝেমধ্যেই গুজরাতে যেতেন
• এই বিশ্বভারতী দেখিয়ে দেয়, বহু ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও আমরা এক
• আমি আবার যখন এলাম, গুরুদেব এবং গুজরাতের আত্মীয়তার কথা মনে পড়ে গেল
• আমি যখন গুরুদেবের কথা স্মরণ করি, নিজেকে সামলাতে পারি না
• বিশ্বভারতীর ১০০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, ১০০ বছরের জ্ঞান রয়েছে
• আমাদের মাথা যেন সব সময় উঁচু থাকে
• অর্থাৎ আমরা এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করি যাতে আমাদের জ্ঞানের কোনও সীমা না থাকে
• গুরুদেব বলতেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত
• আমার মনে নেই, আমাকে কী পড়ানো হয়েছিল, কিন্তু আমার মনে আছে, যেটা আমি শিখেছিলাম
• পড়াশোনা ও শিক্ষার মধ্যে যে পার্থক্য, সেটা গুরুদেবের একটি বাক্যের মাধ্যমেই বোঝানো সম্ভব
• সেই গানকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলতে হবে
• গুরুদেবের গান ছিল যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে
• ভবিষ্যতেও স্থানীয় উৎপাদক, স্থানীয় শিল্পীরা
• বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের বলছি, পৌষমেলায় আগত শিল্পীদের সন্ধান করুন, তাঁদের পণ্য অনলাইনে কী ভাবে বিক্রি করা সম্ভব, তা নিয়ে কাজ করুন
• যখন আমরা আত্মনির্ভরতার কথা বলি, যখন আত্মবিশ্বাসের কথা বলি
• মহামারির জন্য মেলায় যে সব শিল্পী আসতেন, তাঁরা আসতে পারেননি
• এই মহামারি আমাদের শিখিয়েছে, ভোকাল ফর লোকাল
• বিশ্বভারতীর কথা বলতে গেলে এখানে ঐতিহাসিক পৌষমেলা হতে পারেনি
• আমাদের নতুন লক্ষ্য তৈরি করতে হবে, সেই যাত্রায় আমাদের পাথেয় হবে গুরুদেবেরই ভাবনা
• ইতিহাসে এমন আরও অনেকের নাম হয়তো লেখাই নেই
• প্রতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রাণ দিয়েছিলেন অল্প বয়সেই
• ক্ষুদিরাম বসুর কথা ভাবুন, ১৮ বছর বয়সে বলিদান দিয়েছিলেন
• তাঁর সেই ভাবনা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক
• আত্মনির্ভরতার জন্য গুরুদেব আত্নশক্তির কথা বলেছিলেন
• গুরুদেবের ভাবনায় ছিল আত্মনির্ভরতা, আমাদের দেশের কৃষি, বাণিজ্য সব কিছু আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন
• আত্মনির্ভর ভারতের এই ভাবনা শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বকে দিশা দেখিয়েছে
• এই অভিযান ভারতকে শক্তিশালী করার অভিযান
• আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনাও এখানে শামিল
• ভারতে যেটা সর্বশ্রেষ্ঠ, সেটা গোটা বিশ্বকে প্রেরণা দিয়েছে
• বিশ্বভারতী সব ধর্মকে সম্মান করে
• বিশ্বভারতীকে তিনি যে স্বরূপ দিয়েছিলেন, তা জাতীয়তাবাদের এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে
• জ্ঞানের এই আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ এক নয়া দিশা দিয়েছেন
• এই আন্দোলনে প্রভাবতি হয়ে হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে শামিল হয়েছেন
• কয়েকশো বছর ধরে চলেছে এই ভক্তি আন্দোলন
• বহ বছর ধরে ভারতীয়রা গোলামি করছিলেন
• তিনি বিবেকানন্দের মতো শিষ্য পেয়েছিলেন
• শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের চর্চা না করলে এই ভক্তি আন্দোলনের প্রকৃত রূপ বোঝানো যাবে না
• ভক্তির পথেই বহু মণীষী দেশের গর্ব বাড়িয়েছেন
• ভক্তি আন্দোলনের পথিক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
• দেশের বহু পণ্ডিত দেশের উন্নয়নে সাহায্য করেছেন
• প্রকৃতির সঙ্গে মিলে অধ্যন ও জীবনচর্যার শিক্ষা দিয়েছে বিশ্বভারতী
• কবিগুরুর এই প্রতিষ্ঠান দেশকে শক্তি যুগিয়েছে
• নব ভারত নির্মাণে বিশ্বভারতীর ভূমিক অপরিসীম
• দেশের জন্য বিশ্বভারতীর শতবর্ষ গৌরবের বিষয়
• চিন্তন, দর্শনের সাকার রূপ বিশ্বভারতী
• বিশ্বভারতীতে আসা আমার কাছে গর্বের বিষয়
• গৌরব দাও, বিশ্বভারতীর শতবর্ষে এটাই দেশের প্রার্থনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy