বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার নিয়োগ হতে চলেছে। মমতা জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সোমবারের মধ্যে আসতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘১২ হাজার পুলিশের নিয়োগ আটকে ছিল। এখনও অর্ডার আসেনি। সোমবার আসতে পারে। এগুলো আগে হয়ে গেলে আমরা নিয়োগ করে দিতে পারতাম।’’
শহরে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ চালু করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে।
আমেরিকার দূতাবাসের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে কথা হয়েছে মমতার। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন ওই বৈঠকে। মমতা জানান, ওই প্রকল্পের জন্য জমিও প্রস্তুত রয়েছে। এটা বাংলার বড় প্রাপ্তি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।গত তিন বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাংলার এ নিয়ে কথা হচ্ছে। তার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। ঘোষণা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে। এই প্রকল্পে বাংলায় প্রচুর মানুষ চাকরি পাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি পাওয়া যাবে।
নদিয়ার রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘১১২ কেন, ৪১২ ফুটের দুর্গাও আপনারা তৈরি করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল হতে হবে পুজো কমিটিকে। দেখবেন, এমন কিছু করবেন না যাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।’’ এই পুজো নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে।
যাঁরা বাইরে থেকে কাজ করতে আসছেন, তাঁদের বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈঠকেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। আরজি কর আবহে এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ, মত অনেকের। হাসপাতালে বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করতে বলেছেন মমতা।
জুনিয়র ডাক্তারেরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের যে যে বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলিই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মমতা বলেন, ‘‘কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন বন্যার কাজে সকলে ব্যস্ত। তাই কাজে দেরি হচ্ছে।’’
মমতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ হবে, তা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, তিনি পূর্বঘোষণা মতো সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়েছেন। বর্তমানে অধ্যক্ষেরাই ওই সমিতির সভাপতি। সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সের এক জন করে প্রতিনিধি, জনগণের এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy