ফাইল চিত্র
সেই বিধানসভা নির্বাচন থেকেই ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ রব চলছে সমানে। এখন তো ঘটা করে ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। শিক্ষা শিবির-সহ পর্যবেক্ষক মহলের বক্তব্য, ‘খেলা হবে’ স্লোগানে রাজনীতির যত গন্ধই থাকুক, এই সরকারি কর্মসূচিতে খেলার গুরুত্বের স্বীকৃতি অস্বীকার করা যায় না। সেই সঙ্গেই অভিযোগ উঠছে, যেখান থেকে বেশির ভাগ বাচ্চার খেলাধুলোর সূচনা হয়, সেই স্কুলেই খেলাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অধিকাংশ স্কুলেই শারীরশিক্ষার শিক্ষক নেই। প্রাথমিকে শারীরশিক্ষার পাঠ্যপুস্তক আছে, অথচ তার জন্য শিক্ষক নেই। শারীরশিক্ষার শিক্ষকের অভাব আছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতেও। তা হলে খেলা হবে কী করে, উঠছে প্রশ্ন।
শারীরশিক্ষার শিক্ষকদের একাংশ জানান, ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক বিষয় করবেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নবম-দশম ছাড়া অন্য সব শ্রেণিতেই শারীরশিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক হয়েছে। অথচ তার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়নি।
প্রাথমিকে আলাদা করে শারীরশিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ শারীরশিক্ষা ঐক্য পরিষদ। সেই সঙ্গেই তাদের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে মাত্র এক বা দু’জন
শারীরশিক্ষার শিক্ষক আছেন। সেখানেও এই বিষয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ওই সংগঠনের সভানেত্রী সাফিয়া খাতুনের প্রশ্ন, “প্রাথমিক স্তরে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত যখন শারীরশিক্ষা রয়েছে, তা হলে আলাদা ভাবে শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না কেন? সম্প্রতি প্রাথমিকে ১৬,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তখন শারীরশিক্ষার শিক্ষকও নেওয়া হল না? প্রাথমিক স্তরেই যদি শারীরশিক্ষাকে এতটা অবহেলা করা হয়, তা হলে এক জন পড়ুয়ার মনে খেলাধুলো নিয়ে উৎসাহ জাগবে কী ভাবে?” নদিয়ার কল্যাণীর পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের শারীরশিক্ষার শিক্ষক প্রসাদ গড়াই বলেন, “শারীরশিক্ষার দু’জন শিক্ষকের পক্ষে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া খুবই কঠিন। বিশেষ করে একাদশ ও দ্বাদশের জন্য আলাদা শারীরশিক্ষার শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকা প্রয়োজন।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, স্কুলে খেলাধুলোকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকে সব স্কুলে মিড-ডে মিলের আগে খেলার ক্লাস আবশ্যিক করা হয়েছে। ‘‘তবে আলাদা শিক্ষক নয়, যে-শিক্ষকের খেলাধুলোয় উৎসাহ আছে, তিনিই প্রাথমিকে শারীরশিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন। এতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না,” বলেন মানিকবাবু
পর্ষদ-সভাপতির এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা। তিনি বলেন, “খেলাধুলোয় উৎসাহ আছে, এমন শিক্ষক সব স্কুলে না-ও থাকতে পারে। আলাদা করে প্রশিক্ষিত ক্রীড়া-শিক্ষক থাকা জরুরি। না-হলে প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খেলাধুলোর ব্যাপারে উৎসাহ আসবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy