চিতাবাঘের মৃত্যু শিলিগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
গাড়ির ধাক্কায় ফের পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃত্যু শিলিগুড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাকুলাইন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পথচলতি এক সব্জি বিক্রেতা সড়কের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী চিতাবাঘটিকে ছটফট করতে দেখেন। তিনিই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় ঘোষপুকুর বন বিভাগেও। বনকর্মীরা পৌঁছে বাঘটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করলেও সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলিগুলির বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বন দফতরের অনুমান, গাড়ির ধাক্কাতেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হলেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।
গত বছর অগস্ট মাসেও একই ভাবে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে গাড়ির ধাক্কায়। ঘোষপুকুর-ফুলবাড়ি বাইপাসে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কমলাবাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। গাড়ির ধাক্কায় এ ভাবে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের প্রশ্ন, সাধারণত যে সব এলাকায় চিতাবাঘ চলাফেরা করে, সেই সব এলাকায় কেন গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা হয় না?
যদিও কার্শিয়াং বন বিভাগের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় ও মূল সড়কে গাড়ির গতিবেগ নির্ধারিত করে দেওয়া রয়েছে। এমনকি সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় চালকদের সতর্কও থাকতে বলা হয়। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে! বন দফতর কিন্তু গাড়িচালকদের সচেতন করে থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy