প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের পরে প্রথম বার শহরের পথে নামল বামেরা। কেন্দ্র-বিরোধী একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় স্তরেই বামেরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার কলকাতার বিবাদি বাগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরের কাছে অবস্থান-ধর্নায় বসেছিল বামফ্রন্ট।
পেট্রল-ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, কোভিড সরঞ্জামের উপরে জিএসটি প্রত্যাহার এবং সকলের জন্য বিনামূল্যে করোনা টিকার দাবির পাশাপাশি রাজ্যে সাধারণ মানুষের কর্মস্থলে যাওয়ার সুবিধার্থে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে লোকাল ট্রেন ও বাস চালানোর দাবি তোলা হয়েছে অবস্থান থেকে। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। কার্যত লকডাউনের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দিতে চায়নি পুলিশ। কিন্তু স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই তারা স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান করবে বলে বামেরা জানানোর পরে পুলিশ শেষ পর্যন্ত বাধা দেয়নি। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের উদ্যোগে ওই অবস্থান-সভায় বক্তা ছিলেন কল্লোল মজুমদার, প্রবীর দেব, জীবন সাহা, অশোক ঘোষেরা। আরও ১০ দিন জেলায় জেলায় এমন কর্মসূচি চলবে।
বামফ্রন্টের যৌথ আন্দোলনের পাশাপাশি দলের পৃথক কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআই। সেই পরিকল্পনা মেনেই রাজ্যে ১০ বছর বা তার বেশি সময় বিচারের অপেক্ষায় আটকে থাকা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে তারা। বিনা বিচারে আটক রাজনৈতিক বন্দিদের ‘ক্ষমা প্রদর্শনের’ দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন চিঠি দিয়েছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপনবাবু ও জাতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পল্লব সেনগুপ্ত। তাঁদের বক্তব্য, কোনও বিচার ছাড়াই দিনের পর দিন রাজনৈতিক বন্দিদের জেলে আটক থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। বিজেপি সরকার যখন রাজ্যে রাজ্যে ‘নির্লজ্জ ভাবে’ ইউএপিএ প্রয়োগ করছে, সেই সময়ে বাংলার সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের ‘ক্ষমা প্রদর্শন’ করলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, ভূপেশ গুপ্তের আমল থেকেই রাজনৈতিক বন্দিদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করে এসেছে সিপিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy