স্থানীয় সূত্রের দাবি, পুলিশ-প্রশাসনের সক্রিয়তাতেই হয় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনের জেরে পাহাড়ে উত্তেজনা এখন চরমে। এই পরিস্থি্তিতে প্রশাসনের পরামর্শে পাহাড়ে বিধায়কদের প্রতিনিধিদল পাঠানোর কর্মসূচি পিছিয়ে দিল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। তার পরিবর্তে আগামী ৩ জুলাই শিলিগুড়িতে শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। সেখানে যোগ দিতে পারে কংগ্রেসও। মিছিলে থাকবেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ এবং রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট দেওয়ার লক্ষ্যে কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দল ১ জুলাই দার্জিলিঙে বিধায়কদের পাঠানোর কর্মসূচি নিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে-র সঙ্গে কথা বলছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বুধবার ফের আলোচনায় বসেন বিরোধী দলনেতা। ঠিক হয়, বিধায়কদের পাহাড় সফর আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হবে। অশোকবাবু এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের সমর্থন করতে আমরা যাচ্ছি না। পৃথক রাজ্যের দাবি সমর্থনেরও প্রশ্ন নেই। শান্তি মিছিল করার পরে আমরা পাহাড়ে যাব। সেই দিনটাও শীঘ্র ঠিক করে ফেলা হবে।’’ মান্নানের বক্তব্য, ‘‘পাহাড়কে আরও উত্তপ্ত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। শান্তি এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য আমরা আলোচনা চাই।’’
কংগ্রেস ও বাম, দু’পক্ষই এ দিন ফের নিঃশর্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুলেছে। অশোকবাবুর বক্তব্য, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এ বার পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হয়নি। জিটিএ-র ক্ষমতা খর্ব করা, তাদের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ, বাংলা ভাষার প্রসঙ্গ এবং সর্বোপরি গুলিচালনার জেরে পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। অশোকবাবুর কথায়, ‘‘জেদ ছেড়ে মোর্চা ও সরকারকে আলোচনায় আসতে হবে। শিলিগুড়ির মেয়র হিসাবে ৩ তারিখের শান্তি মিছিলে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শাসক দল এখন সমতলে জাতিগত বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy