Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
CPM

সচেতনতা ও প্রতিবাদ, স্বাস্থ্যেই নজর বামেদের

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬টি দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজ্য জুড়ে দু’দিনের সচেতনতা প্রচার কর্মসূচি চালানো হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৬:১৭
Share: Save:

বিধায়কদের ঘোষিত ধর্ণা আপাতত স্থগিত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যে ‘অব্যবস্থা’র অভিযোগকে সামনে রেখেই আপাতত কর্মসূচি সাজাচ্ছে বামেরা। করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশিই প্রতিবাদের পথে যাচ্ছে তারা।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬টি দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজ্য জুড়ে দু’দিনের সচেতনতা প্রচার কর্মসূচি চালানো হবে। তার পরে মাসের শেষ দিকে রাস্তায় নেমে অবস্থান হবে স্বাস্থ্যে সঙ্কট সামাল দিতে সরকারি ‘ব্যর্থতা’র প্রতিবাদে। আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও বাম সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই কলকাতায় ফের অবস্থান হবে এবং ১৬ দলের সঙ্গে কংগ্রেসকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এ দিন বলেন, রাজ্যে পরীক্ষা বেড়েছে বলে সংক্রমণও অনেকটা বেড়েছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনও ততটা সচেতন নন। বিমানবাবুর কথায়, ‘‘মানুষ সচেতন না হলে রোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সচেতনতা প্রচারের কর্মসূচি আমরা নিচ্ছি। আবার সরকারের যে দায়িত্ব এবং কাজ, সেটা আর কেউ করে দিতে পারে না। সরকারের কাজের ত্রুটিও আমরা ধরিয়ে দিতে চাই।’’

মুখ্যমন্ত্রী এ দিনই বলেছেন, টিভি চ্যানেলে মুখ দেখানোর জন্য নানা রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমে পড়ছে। জবাবে বিমানবাবু বলেছেন, ‘‘বামপন্থীরা অন্তত টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য কিছু করছে না! যেখানে প্রতিবাদ জরুরি, সেখানে বিধি মেনেই তা করা হচ্ছে। ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যেই আমাদের অবস্থানের জায়গা (অম্বেডকর বা হো চি মিন মূর্তি) আমরা বেছেছি।’’

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চিকিৎসা পেতে সাধারণ মানুষের হয়রানির প্রতিবাদে দলের সব গণসংগঠনকে নামিয়ে আন্দোলন হবে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বাইরে এ দিনই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন। কলেজ স্ট্রিট ও সূর্য সেন স্ট্রিটের মোড় কিছু ক্ষণ অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন বিক্ষোভকারীরা।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্যানিটাইজার, মাস্কে জিএসটি চাপানোর যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, তারও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিমানবাবুর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অনেকেই আগে ব্যবসা করতেন। মহামারির বিপদের মধ্যেও ব্যবসা তাঁরা ভুলতে পারছেন না!’’ এই ‘ভয়ানক ও নির্বোধ কারবার’ প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy