Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Influenza

Fever: ভয় বাড়াচ্ছে জ্বর-হীন ম্যালেরিয়া, ধুম জ্বরের সঙ্গে শিশুদের মধ্যে ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা

রাজ্যে কোভিডে সংক্রমিতের সংখ্যা আগের থেকে কমলেও জ্বর-সহ ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েক জনের ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়াও ধরা পড়েছে।

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:০৮
Share: Save:

কোভিডের মতো উপসর্গ, কিন্তু পরীক্ষা করলে রিপোর্ট আসছে নেগেটিভ। শহর এবং শহরতলিতে জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন অনেকেই। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। শহরের বেশ কয়েকজন শিশু চিকিৎসক জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় শিশুদের মধ্যে ধুম জ্বর-সহ ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াচ্ছে বেশি। আবার জ্বর নেই, কিন্তু পরীক্ষা করে ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে— এমন ঘটনাও লক্ষ করা গিয়েছে বলে জানান শিশু চিকিৎসক শান্তনু রায়।

শুধু শিশুদের মধ্যেই নয়, ম্যালেরিয়ার তথাকথিত উপসর্গ ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকজন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মিন্টোপার্কের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান চিকিৎসক রাহুল জৈন। সাধারণত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে রোগীর। রাহুল বললেন, ‘‘কিন্তু চলতি বছরে আমরা এমন রোগী দেখছি, যাঁদের জ্বর নেই, বা ৯৯ থেকে ১০০-এর বেশি জ্বর আসেনি। কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এ রকমই চার জন ম্যালেরিয়া আক্রান্তকে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। এক জনকে তো ভেন্টিলেটর সাপোর্টেও রাখতে হয়েছিল।’’

বেশ কয়েকজন ম্যালেরিয়া রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান করে বুকে সংক্রমণ লক্ষ করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে তাঁর মতে, ‘‘আপত নিরীহ ‘ভাইভ্যাক্স’ ম্যালেরিয়া এ বারে কেন রোগীদের বেশি কাবু করছে, তা গবেষণা করে দেখা উচিত।’’

শিশুদের মধ্যেও জ্বর হীন ম্যালেরিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে বলে জানান শিশু চিকিৎসক শান্তনু রায়। তিনি বলেন‌, ‘‘জ্বর না থাকলেও পাতলা পায়খানা হচ্ছে শিশুদের। তাই এখন ডায়েরিয়া হলে আমরা ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’’

বর্যার মরশুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা বাড়ে। তবে করোনাকালে ইনফ্লুয়েঞ্জাকে অবহেলা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে ১০৪-১০৫ জ্বর আসছে। বেশি জ্বরে শিশুদের খিঁচুনিও হচ্ছে। এছাড়াও পাতলা পায়খানা, খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া, গায়ে ব্যাথা হতে পারে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

জ্বর এলে প্রথম দু’দিন শিশুকে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে বলে জানান শান্তনু। তবে তার থেকে বেশি দিন জ্বর থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ তাঁর। শান্তনুর মতে শিশুদের জ্বর এলে কিছু বিষয় বাবা-মায়েদের নজর রাখতে হবে। তাঁর মতে, প্রথম দু’দিন পর জ্বর না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের তৃতীয় দিনে ডাক্তারের পরামর্শে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, টাইফয়েডের পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বর এলে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। শিশু যাতে ডিহাইড্রেটেড না হয়ে যায় খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে করোনার আশঙ্কাকেও অবহেলা করা যাবে না বলেই জানাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন:

অন্য বিষয়গুলি:

Influenza Malaria Fever
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy