প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গোড়াতেই ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফাইল চিত্র।
২০১৪ সালের টেট পাশদের দু’টি তালিকা সদ্য প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু সেই তালিকা নিয়েই এ বার নতুন প্রশ্ন তুললেন মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক পদে যে ২৬৮ জনের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৩ জনের নাম কোনও তালিকায় নেই। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেবেন বলেও মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানিয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের ব্যাখ্যা, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই বিতর্কিত প্রার্থীদের নাম রাখা হয়নি। এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য প্রশ্ন উঠতেই পারে যে বাকিদের নাম তালিকায় এল কী ভাবে? তার সদুত্তর অবশ্য মেলেনি।
সুদীপ্ত জানান, ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়ে যাঁরা পাশ করেছেন, সেই তালিকাতেও বিতর্কিত ভাবে নিযুক্তদের কয়েক জনের নাম আছে। তাঁর প্রশ্ন, ৮২ নম্বর পেলে পাশ করানোর নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট সম্প্রতি দিয়েছে। সেই নির্দেশের আগেই কী ভাবে ওই প্রার্থীরা চাকরি পেলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গোড়াতেই ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল মামলা হলেও চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কলকাতা হাই কোর্টে নিজের বৈধ নিয়োগের পক্ষে প্রমাণ দিয়ে ২৬৯ জনের মধ্যে এক জন চাকরি ফিরে পেয়েছিলেন। বাকিরা চাকরি ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টেই বিচারাধীন। সুদীপ্ত জানান, ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের ওই মামলা উঠবে। তখন বিষয়টি শীর্ষ আদালতকে জানানো হবে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় ২৬৮ জনকে ফের স্কুলে যোগদানের ছাড়পত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, চাকরি বাতিল আপাতত স্থগিত হয়েছে। ওই শিক্ষকদের সাসপেন্ড করা হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী তাঁরা স্কুলে যোগ দেওয়ার যোগ্য। তাই চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে স্কুলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার না-করায় ওই ২৬৮ জনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরও হয়েছিল। তার পরেই পর্ষদ স্কুলে যোগদানের ছাড়পত্র দেয় বলে খবর। তবে পর্ষদ এ-ও জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ওই ২৬৮ জনের চাকরির ভবিষ্যত মামলার রায়ের উপরে নির্ভরশীল।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত ভাবে নিযুক্তদের ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের মামলাতেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কাজও শুরু হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত ২০১৪ সালের মেধা তালিকার বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টেও উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy