অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও হাই কোর্টে তাঁর টিমের সদস্য নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। পিটিআই।
কৌশল করেই বন্দি রাখা হচ্ছে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে। কলকাতা হাই কোর্টে এমন অভিযোগই করলেন ফিরহাদ-সুব্রতদের আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, নারদ মামলার চার্জশিট ইতিমধ্যেই পেশ হয়ে গিয়েছে। তদন্তেরও আর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কাজেই তদন্তে প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন ওঠে না। অথচ সেই যুক্তিতেই আটকে রাখা হচ্ছে চার নেতা এবং মন্ত্রীকে!
বুধবার নারদ-কাণ্ড সংক্রান্ত দু’টি মামলার যৌথ শুনানি ছিল হাই কোর্টে। বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত চলে শুনানি। কিন্তু তার পরেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিনের স্থগিতাদেশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি অন্য রাজ্যে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কি না সে বিষয়েও রায় দেয়নি আদালত। পরে শুনানি শেষে ফিরহাদ-সুব্রতদদের আইনজীবীরা জানান, সিবিআই অকারণে জটিলতা তৈরি করেছে। নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভের ঘটনাটিকে জামিনের শুনানির সঙ্গে জুড়ে মামলাটিকে এমন ভাবে তারা উপস্থাপন করেছে, যেন মনে হচ্ছে রাজ্যে মামলাটির তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হবে। যেখানে মামলাটির পরবর্তী তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার, সেখানে এমন যুক্তি কেন সাজানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্ত পক্ষের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য আইনজীবীরা।
ওই আইনজীবীদের দাবি, শুনানির শুরুতেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে, নতুন করে তদন্তেরও প্রয়োজন নেই, তা হলে কেন এই নেতা-মন্ত্রীদের আটকে রাখা হবে? জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা জানান, আগে তাঁর যুক্তি শোনা হোক। তারপর নয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তুষার জানান, ১৭ মে ঘটনার দিন সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে গিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। এ ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে তৃণমূল সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে তুষার বলেন, রাজ্যে মামলাটির তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারে শাসক দল।
এরই প্রতিক্রিয়ায় টিম-সিঙ্ঘভির যুক্তি, নারদ মামলার চার্জশিটের তিন নম্বর প্যারাগ্রাফে তদন্তকারী অফিসার স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে পরবর্তী তদন্তের প্রয়োজন নেই। তদন্তই যদি না হয়, তা হলে তদন্তে প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে? তাঁদের অভিযোগ, চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে আটকে রাখতে বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ টেনে সিবিআই মামলাটিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy