বছর একচল্লিশের মনোজ মিশ্র বলেন, ‘‘ছোট থেকেই লতা মঙ্গেশকরের গান শুনে আসছি। ‘অ্যায় মেরে বতন কি লোগো’ গানটা দেশের জন্য গেয়েছিলেন। সেই গানটি খুব ভাল লেগেছিল। তিনি তো সুরের আকাশে ধ্রুবতারা! তাই তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এই আয়োজন। মেনুতে ছিল বেগুনি, সবজি, খিচুড়ি, চাটনি, পাঁপড়।’’
বেলপাহাড়িতে লতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
কার্ড ছাপিয়ে পাড়া-পড়শিকে পাত পেড়ে খাইয়ে শুক্রবার প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। স্থান, মুম্বইয়ের প্রভুকুঞ্জ নয়, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি।
বেলপাহাড়ির বাসিন্দা মনোজ মিশ্র চিরকালই লতার ভক্ত। তাঁর সব গানই কণ্ঠস্থ মনোজ ও তাঁর বন্ধুদের। এ হেন লতার মৃত্যুর পর তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির বাসিন্দা মনোজ ও তাঁর বন্ধুরা।
রীতি মেনে পুরোহিত দিয়ে সকাল থেকেই হোমযজ্ঞ হয়। আসবাবপত্র, বাসন সব কিছুই দেওয়া হয় পুরোহিতদের। পাশাপাশি ব্রাহ্মণ ভোজন ছাড়াও বেলপাহাড়ি হাইস্কুল সংলগ্ন একটি মাঠে রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে প্রায় ৭০০ গ্রামবাসীকে শুক্রবার দুপুরে পেট পুরে খাওয়ালেন মনোজরা। বসার জন্য করোনা বিধি মেনে চেয়ার দেওয়া হয়েছিল। এক দিকে শ্রাদ্ধের পূজা অর্চনা, অন্য দিকে মাইকে বাজছিল একের পর এক লতার গান। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য একটি জায়গায় লতার ছবি ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে রাখা ছিল।
পেশায় পাথর ব্যবসায়ী মনোজ। বাড়িতে স্ত্রী, মেয়ে ও মা রয়েছেন। বছর একচল্লিশের মনোজ বলেন, ‘‘ছোট থেকেই লতার গান শুনে আসছি। ‘অ্যায় মেরে বতন কি লোগো’ গানটা দেশের জন্য গেয়েছিলেন। সেই গানটি খুব ভাল লেগেছিল। তিনি তো সুরের আকাশে ধ্রুবতারা! তাই তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এই আয়োজন। এলাকাবাসীকে কার্ড দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া প্রশাসনের কর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। মেনুতে ছিল বেগুনি, সবজি, খিচুড়ি, চাটনি, পাঁপড়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy