ধস নেমে বাড়িতে ফাটল। —নিজস্ব চিত্র
ফের খনি এলাকায় ধসের জেরে আতঙ্ক ছড়াল আসানসোলের বরাকরে। ধসের জেরে একটি বাড়ির অর্ধেক অংশ মাটির নীচে চলে গিয়েছে। ফাটল ধরেছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বাড়ি ছেড়ে বাইরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। আতঙ্কে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বেআইনি ভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা খননের ফলে আসানসোলরে বিস্তীর্ণ এলাকা ধসপ্রবণ। মাঝে মধ্যেই রাস্তা, বাড়িতে ফাটল, ধসের ঘটনা লেগেই থাকে। বুধবার তারই পুনরাবৃত্তি বরাকরের আরাডাঙা এলাকায়। একটি বাড়ি মাটির প্রায় ৬ ফুট নীচে চলে যায়। আরও কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাইরে।
মাটির নীচে চলে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দা রুখসানা বেগম বলেন, ‘‘আসবাব-সহ টাকাপয়সাও বের করতে পারিনি। ওই ভাবেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। বাড়িতে ঢুকতে সাহস পাচ্ছি না।। স্থানীয় বাসিন্দারাও পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন। ঘটনার পর এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকা বসবাসের অযোগ্য। যে কোনও দিন আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনকে বলব, এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে।’’
বরাকরের এই আরাডাঙা এলাকা ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (বিসিসিএল)-এর খনি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ২০০৬ সালেই আরাডাঙাকে ধস কবলিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে বিসিসিএল। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বেআইনি ভাবে কয়লা উত্তোলন করতেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে সেই সব খনিমুখ বন্ধ করে বসবাস শুরু করেন অনেকে। কিন্তু ঠিকমতো ভরাট না হওয়ায় মাটির নীচে বহু জায়গায় কার্যত ফাঁকা। তার জেরেই মাঝেমধ্যে এমন ধস নামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy