বিদ্যাসাগর সেতু। —ফাইল চিত্র।
বিদ্যাসাগর সেতুর উপরের পথ বিভাজিকা সরানোর কাজ শেষ হতেই মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণের মহড়া করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। সেই সময়ে কোনও অসুবিধা দেখা না দিলে আগামী আট মাস ওই সেতু দিয়ে পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। ওই নির্দেশিকায় বিস্তারিত বলা হয়েছে বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে কোন কোন রাস্তা ব্যবহার করা যাবে। ওই মহড়ার সময় থেকেই সেতুর উপর দিয়ে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি চলবে না। শুধুমাত্র ছোট গাড়ি, বাস, মোটরবাইকের মতো যানবাহন চলবে সেতু দিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, তাতে অসুবিধা না হলে এইচআরবিসি-কে সেতুর কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী আট মাস পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বিদ্যাসাগর সেতুতে।
লালবাজার সূত্রের খবর,
১. মহড়া চলাকালীন ডিএল খান রোডের দিক থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে এজেসি বোস রোড বা ডিএল খান রোড হয়ে হসপিটাল রোড, কেপি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা সেতু, বি টি রোড, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে শহরের বাইরে যাওয়া যাবে।
২. এক্সাইড ক্রসিং-এর দিক থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে এজেসি বোস রোড থেকে ঘুরে জে এল নেহেরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস রোড, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা ব্রিজ, বি টি রোড, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতুতে উঠে যাবে।
৩. বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে বন্দর এলাকার পণ্যবাহী লরি-ট্রেলার সব চেয়ে বেশি চলাচল করে। সেতুতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলে বন্দরের দিক থেকে আসা লরি বা ট্রেলারগুলি ক্লাইড রো বা সেন্ট জর্জ রোড থেকে ঘুরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড, কিংস ওয়ে, ধর্মতলা হয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস রোড, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা ব্রিজ, বি টি রোড, ডানলপ হয়ে পাঠানো হবে নিবেদিতা সেতুতে।
৪. জে এবং এন আইল্যান্ড থেকে কে পি রাস্তার দিকে যেই পণ্যবাহী গাড়িগুলি আসবে তাদের হেস্টিংস মোড় ত্রসিং থেকে সেন্ট জোর্জ, স্ট্র্যান্ড রোড, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস রোড, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা ব্রিজ, বি টি রোড, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতুতে যেতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা আছে, যানজট এড়াতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য যানবাহন চলাচলও অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের প্রথম থেকেই সেতুর দু’দিকে চারটি স্তম্ভের ১৬টি কেব্ল মেরামতি এবং পরিবর্তনের কাজ শুরু করার কথা ছিল সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)-এর। এই কাজের জন্য সেতুর দু’টি লেন বন্ধ রাখা হবে বলে ঠিক ছিল। বাকি চারটি লেন দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চলাচল করার কথা ছিল। তার জন্য পথ বিভাজিকা সরানো প্রয়োজন। সেই কাজ করার জন্য মূল কাজ শুরু করেনি ওই সংস্থা। তাই সেতুতে গত মাসে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy