সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির ভুয়ো পরিচয় দিয়ে একটি সরকারি সংস্থার কর্তাকে ফোন করে বেআইনি ভাবে সুবিধা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হেয়ার স্ট্রিট থানার এই মামলায় অভিযুক্ত পবন পালকে শনিবার গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতের বাড়ি পূ্র্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। রবিবার পবনকে কলকাতার সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিজয়িতা দে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান, ধৃত ব্যক্তি খনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, চলতি মাসে পবন ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশনের এক কর্তাকে ফোন করে নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দেয়। ওই কর্তার থেকে সে পূর্ব বর্ধমানে বালি খাদান বণ্টনের দরপত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আরও অভিযোগ, এই কাজের জন্য ৫০ শতাংশের বদলে ৩০ শতাংশ অগ্রিম দেবে বলেও জানিয়েছিল অভিযুক্ত। ফোন পেয়ে সন্দেহ হয় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তার। তাঁর থেকে বিষয়টি জানতে পেরে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
যে মোবাইল থেকে অভিযুক্ত ফোন করেছিল, তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা সেটির টাওয়ারের অবস্থান নির্ণয় করে পবনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অরূপ বলেন, ‘‘পবন হাই কোর্টের বিচারপতির নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করে বিভিন্ন আইএএস অফিসার, সরকারি কর্তার কাছ থেকে টাকাও চাইত।’’ পবনের কোনও আইনজীবী না থাকায় তার হয়ে মামলা লড়েন এলএডিসি-র আইনজীবী। তিনি তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানালে তা খারিজ করে আদালত।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)