প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় বসে কলসেন্টার খুলে ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার এক মাসের মধ্যে চার্জশিট পেশ করল লালবাজারের সাইবার থানা। পুলিশি সূত্রের খবর, এই ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ব্যাঙ্কশাল আদালতে দু’টি মামলাতেই সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের তিনটি ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রতারণা-সহ ন’টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।
কলকাতায় বসে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে ব্রিটিশ নাগরিকদের ঠকানোর অভিযোগে সিদ্ধার্থ বান্ঠিয়া, ইসফাক আহমেদ, রিজওয়ান আলি, মুদস্সর মেহমুদ, জোয়েব তালাত, খালিদ সুলতান ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। দ্রুত অভিযুক্তদের কব্জা করে ব্রিটিশ পুলিশেরও প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।
লালবাজারের খবর, গোয়েন্দারা আদালতে জমা দেওয়া প্রায় হাজার পাতার চার্জশিটে শরৎ বোস রোডের বাসিন্দা সিদ্ধার্থকে প্রতারণা চক্রের চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্তত ৪০ জনের সাক্ষ্যও জমা দেওয়া হয়েছে চার্জশিটে। সাক্ষীদের মধ্যে আছেন অভিযুক্তদের কলসেন্টারের বিভিন্ন কর্মী। এ ছাড়া সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে সাইবার বিশেষজ্ঞদের। চার্জশিটে জানানো হয়, অন্তত ২৩ হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা করে ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সিদ্ধার্থের চক্র।
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্জশিটে অভিযোগকারী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের জমা দেওয়া চিঠি রয়েছে। তাতে তাঁদের নাম করে কী ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে, তার সবিস্তার নথি এবং তথ্য আছে। গোয়েন্দারা জানান, ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিরা আদালতে বয়ান দেবেন। লন্ডন থেকে ওই প্রতারণার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে দ্রুত আনার চেষ্টা চলছে। এক পুলিশকর্তা জানান, মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্তে কোন ফাঁক রাখা হচ্ছে না। মিউচুয়াল লিগাল অ্যাটাচমেন্ট ট্রিটির (এমএলএটি) মাধ্যমে কয়েক জন প্রতারিত ব্যক্তির বয়ান সংগ্রহ করার জন্য লন্ডন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy