তৃণমূলের মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এবং তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে একমঞ্চে দেখা গেল। শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়টি যখন ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’ বলে উল্লেখ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন হলদিয়ায় এই ছবি নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। দলে কি তবে এ বার শুভেন্দুর অভাব পূরণ করবেন লক্ষ্মণ? এমন প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে হলদিয়ায়।
বৃহস্পতিবার হলদিয়ার দুর্গাচকে ক্ষুদিরামের জন্মদিবস উদ্যাপনের আয়োজন করেছিলেন মধুসূদন মণ্ডল। তাঁর আমন্ত্রণেই হলদিয়ায় এসেছিলেন কুণাল এবং লক্ষ্মণ। হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি তা হলে তৃণমূলে যোগ দেবেন? প্রথমে তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘‘তৃণমূলে কেন যাব? এমন অনুমান করে কী লাভ?’’ এর পরেই লক্ষ্মণ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘পৃথিবীতে সবই হতে পারে।’’ তবে তিনি এ-ও জানান, ক্ষুদিরামের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চান না।
এ প্রসঙ্গে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মধুসূদন মণ্ডল হলদিয়ায় ক্ষুদিরামের জন্মদিবস পালন করছেন। তাঁর আমন্ত্রণ পেয়েই এসেছি। আয়োজকরা কাকে ডাকবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। লক্ষ্মণ শেঠ পুরনো পরিচিত। তিনি সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ। তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে যে গুঞ্জন। তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’’
আরও পড়ুন: পান্তা-মুড়ি খেয়ে আদর্শের জন্য লড়াই, গড়বেতার সভায় বললেন শুভেন্দু
তবে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে লক্ষ্মণ শেঠকে ক্লিনচিটও দিয়েছেন কুণাল। তাঁর মতে, ‘‘লক্ষ্মণদা একদিন দুঃখ করে বলছিলেন, নন্দীগ্রাম তাঁর ওপরে জোর করে চাপিয়ে দিয়েছিলেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। তিনি তখন পইপই করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহাকরণ থেকে একপ্রকার জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই দায় লক্ষ্মণকেই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’’
লক্ষ্ণণের পাশাপাশি শুভেন্দু প্রসঙ্গেও কুণাল একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে বলব এই বিজেপি ২০১৬ সালে তাদের সদর দফতরে বিশাল স্ক্রিন লাগিয়ে ওঁর ছবি দেখিয়ে নারদা-সারদায় কালিমালিপ্ত করে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছিল। টাকা নেওয়ার ছবি দেখিয়ে ওঁর বদনাম করেছিল। এখন শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে সবাই তো বলবে, সিবিআই, ইডি-র ভয় দেখিয়ে ওঁকে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় না শুভেন্দুর মতো এক জন লড়াকু, ঝকঝকে ছেলে এদের কাছে মাথা নত করবেন।’’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য জানুয়ারিতে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা মমতার