শুভেন্দু অধিকারীর (বাঁ দিকে) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)।
সারদা-কাণ্ড নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আবারও তোপ দাগলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দাবি করলেন, সারদার টাকা নেওয়া হয়েছিল তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে! একই সঙ্গে কুণালের দাবি, জেল যাওয়া এড়াতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
শুক্রবার সকালে টুইট করে শুভেন্দুকে এক হাত নেন কুণাল। সেখানে লেখেন, ‘শুভেন্দু, আমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে জেলের কথা বলো। হ্যাঁ, আমি জেলে ছিলাম। তোমরা সারদার টাকা নিয়েছিলে। চক্রান্তে বন্দি করেছিলে। আইনি লড়াই চলবে। কিন্তু, তুমি তো জেলখাটা খুনের আসামির অবৈধ রাজনৈতিক সন্তান। যার পায়ে হাত দিয়ে বিজেপিতে গেলে, তার জেলটা কি তাজমহল ছিল?’
শুভেন্দু, আমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে জেলের কথা বলো।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 16, 2022
হ্যাঁ, আমি জেলে ছিলাম। তোমরা সারদার টাকা নিয়েছিলে। চক্রান্তে বন্দি করেছিলে। আইনি লড়াই চলবে।
কিন্তু, তুমি তো জেলখাটা খুনের আসামীর অবৈধ রাজনৈতিক সন্তান। যার পায়ে হাত দিয়ে বিজেপিতে গেলে, তার জেলটা কি তাজমহল ছিল?
পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে একটি ‘ইন্টিমেশন’ জমা দিতে গিয়ে আবারও সেই প্রসঙ্গেই কথা বলেন কুণাল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক প্রশ্ন করলেই শুভেন্দু পালিয়ে যান। উত্তর দিতে পারেন না। তখন তিনি বলেন, আমি জেলে ছিলাম। এ বার আমার যুক্তি, আমি জেলে ছিলাম, সবাই জানে। তোমরা সব সারদার টাকা নিয়েছ। আমার কাঁধে বন্দুক রেখেছ, আমি সেই আইনি লড়াই লড়ছি। আর তুমি জেল এড়াতে বিজেপি গিয়েছ।’’
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কথাও তুলেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশ্ন আর একটা। তুমি যদি জেলে থাকার প্রশ্ন তোলো, তা হলে তুমি যে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলে, তিনি তো খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। অমিত শাহের জেলটা কি জেল ছিল না? ওটা কি তাজমহল ছিল!’’
নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার কুণালও সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন। দাবি করেছেন, ত্রিপুরা থেকে লোক এনে এ সব করেছে বিজেপি। শুক্রবারও একই ভাবে তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন অভিযানের দিন যে ভাবে গুন্ডামি হয়েছে, আসলে ত্রিপুরার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের রিপোর্টে গুন্ডামিতে দেশে প্রথমের শিরোপা পেয়েছে। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার। এ বার ওরা এখানে এসে লাঠি, রড, পাথর দিয়ে এসব যাচ্ছেতাই কাণ্ড করেছে। সশস্ত্র হয়ে এসেছিলেন। নিরস্ত্র পুলিশ আধিকারিককে মারা চেষ্টা হয়েছে। ২৭ জন পুলিশ কর্মী জখম।’’
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই পুলিশের প্রশংসা করে কুণাল বলেন, ‘‘পুলিশ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। এমন কিছু করেনি, যাতে অন্য দিকে জল গড়াতে পারত। যাঁরা এই কীর্তি করেছেন, পুলিশকে মেরেছেন, গাড়িতে আগুন দিয়েছেন, তার পর এলাকায় গিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন, এলাকার মানুষকে অনুরোধ, প্রত্যেককে চিনিয়ে দিন। স্থানীয় থানায় খবর দিন। খবর আসছে, মানুষ সহযোগিতা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy