কুণাল ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
তিনি আর ব্রাত্য বসু সোমবার সকালে তখন তাপস রায়ের বাড়িতে তাঁর ক্ষোভ প্রশমন করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই কুণাল ঘোষের হোয়াট্সঅ্যাপে শো-কজ়ের চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। কিন্তু নানাবিধ ব্যস্ততায় বিকাল ৪টে পর্যন্ত সেই চিঠি পড়ে উঠতে পারেননি, জানালেন কুণাল। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, সোমবার উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেছিলেন। চায়ের নিমন্ত্রণ করেছেন। তিনি চা খেতে সুদীপের বাড়িতে যাবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শো-কজ় চিঠির বিষয়ে কুণাল জানিয়েছেন, তিনি গান শুনছিলেন। সেই গান গেয়েও শোনান কুণাল। মহম্মদ রফির গাওয়া ‘সঙ্গম’ ছবির গানের কথা উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতা—‘ইয়ে মেরা প্রেমপত্র পড় কর, কে তুম নারাজ না হো না…!’ কুণালকে প্রশ্ন করা হয়, তা হলে কি তিনি রাজ্য সভাপতির পাঠানো চিঠিকে প্রেমপত্র বলে উপহাস করছেন? জবাবে কুণাল বলেন, ‘‘আমি উপহাস করছি না। আমার চিঠিটা পড়া হয়নি। আমি গান শুনছিলাম।’’ বলে আবার গাইতে শুরু করেন কুণাল। তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, সকাল থেকে অনেক মেসেজই এসেছে তাঁর হোয়াট্সঅ্যাপে। কিন্তু তাঁর পড়া হয়নি। এর মধ্যে পুরনো বান্ধবীর মেসেজও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বান্ধবী অনেক দিন পর টিভিতে দেখেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন।’’
তৃণমূল সাংসদ সুদীপের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কুণাল অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁকে আবার গ্রেফতারের দাবিতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করেছিলেন। হঠাৎ কী হল? কুণালের বক্তব্য, ‘‘সুদীপদা সিনিয়র নেতা। তিনি ডেকেছেন। আমি সৌজন্য দেখাতে যাব।’’ গত কয়েক দিন ধরেই সুদীপের বিরুদ্ধে সরব কুণাল। শনিবার কুণাল এ-ও দাবি করেছিলেন, উত্তর কলকাতায় মহিলা প্রার্থী দেওয়া হোক। সেই দাবিতে কি তিনি অনড়? চা খেতে যাওয়ার আগে অবশ্য তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কুণাল। তাঁর কথায়, ‘‘এখন এ সব নিয়ে কথা বলা অসৌজন্য। সেটা আমি করতে পারি না।’’
বস্তুত, সুদীপ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলাতেই কুণালকে শো-কজ় করেছে দল। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সুদীপকে পুনরায় গ্রেফতার করার দাবি সম্বলিত টুইট কেন তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন? এবং সেই পোস্টে কেন ইডির ডিরেক্টর এবং সিবিআইকে ট্যাগ করেছিলেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, এর ফলে বিজেপিকেই ‘সুবিধা’ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে বক্সী কুণালের বিরোধী শিবিরের বলেই পরিচিত। বস্তুত, তাঁর বদলে বক্সীকে পূর্ব মেদিনীপুরে ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি বৈঠকে পাঠানো নিয়ে কুণাল প্রকাশ্যেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। ফলে বক্সীকে দিয়ে তাঁকে শো-কজ় করানোর সিদ্ধান্তও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ এবং ‘বার্তাবহ’। যদিও কুণাল বলেছেন, তিনি বক্সীকে সম্মান করেন। মাঝেমাঝে বিবিধ বিষয়ে বক্সী তাঁকে পরামর্শও দেন। তবে সুদীপের বাড়িতে কুণাল চা খেতে গেলে, তার পর কী হয়, দু’জনে একসঙ্গে কিছু বলেন কি না, সে দিকেও নজর থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy