শনিবার কুমারগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন কুমারগঞ্জের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা, মা ও দাদা। তাঁদের দাবি, আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
কুমারগঞ্জ-কাণ্ডে নিহত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে গত শনিবার সকালে দেখা করতে যান বিজেপি প্রতিনিধিদল। তাতে ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ওই প্রতিনিধিদল নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই ‘নিখোঁজ’ হন তাঁর পরিজনেরা। তাঁদের খোঁজ পেতে নির্যাতিতার এক আত্মীয়াকে দিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করান লকেটরা। নির্যাতিতার পরিবারকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোপন আস্তানায় রাখা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও তোলে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের তপসিলি জাতি কমিশনের প্রতিনিধিদলও নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে কারও খোঁজ পায়নি৷ এর পরেই জেলার পুলিশ-প্রশাসন কমিশনের তোপের মুখে পড়ে। নিখোঁজ পরিবারকে সাত দিনের মধ্যে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় কমিশন। সেই নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে নিখোঁজ পরিবার।
নির্যাতিতা তরুণীর মা বলেন, ‘‘শনিবার জেলাশাসকের অফিসে গিয়েছিলাম। ওখানে রাজ্য সরকার আমাদের আর্থিক সাহায্য করে। সেখান থেকে বেরিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাই।’’
তবে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল তাঁদের কোথাও লুকিয়ে রেখেছিল। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা যাতে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না পারি, সে জন্য ওঁদের লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তা না হলে কমিশনের ধমক খাওয়ার পরেই তাঁদের কী ভাবে বাড়িতে ফেরানো হল?’’ বিজেপি সূত্রে খবর, ওই ঘটনা নিয়ে প্রচার চালাতে বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন।
ওই পরিবার বাড়িতে ফিরতেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকায় দেশের সব মানুষকে নিজেদের কর্মচারী ভাবছে বিজেপি। যে, যখন, যাঁর বাড়িতে যাবেন তখন গৃহকর্তাকে সেখানে থাকতে হবে। বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল আমরা নাকি ওঁদের লুকিয়ে রেখেছি। ওই পরিবার বলছে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। বিজেপি কী উত্তর দেবে?’’
এ দিকে, নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ির সামনে পুলিশি নজরদারি বসানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ওঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁরা ছিলেন তা-ও খোঁজ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy