Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

কাজের দিনে ফের মিছিল, ভোগান্তি

রাজনৈতিক মিছিল এবং ট্রেন বিভ্রাটের জেরে ফের কাজের দিনে রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হল সাধারণ মানুষকে। যদিও ট্রাফিক পুলিশের দাবি, শুক্রবার শহরে তেমন যানজট হয়নি। মিছিলের জন্যই শুধু কিছুক্ষণ গাড়ি আটকে ছিল। তার পরেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ দিন প্রথম মিছিলটি দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বেরোয় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share: Save:

রাজনৈতিক মিছিল এবং ট্রেন বিভ্রাটের জেরে ফের কাজের দিনে রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হল সাধারণ মানুষকে। যদিও ট্রাফিক পুলিশের দাবি, শুক্রবার শহরে তেমন যানজট হয়নি। মিছিলের জন্যই শুধু কিছুক্ষণ গাড়ি আটকে ছিল। তার পরেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এ দিন প্রথম মিছিলটি দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বেরোয় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। প্রাথমিক শিক্ষকদের এই মিছিলটি রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এসে সমাবেশে যোগ দেয়। এর পরে দুপুর দুটো নাগাদ এন্টালির রামলীলা ময়দান থেকে কলেজ স্ট্রিটে আসে বামপন্থীদের একটি মিছিল। এই মিছিলটি মৌলালি, এস এন ব্যানর্জি রোড হয়ে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড ধরে কলেজ স্ট্রিট পৌঁছয়। এই রাস্তা দিয়ে মিছিলটির যেতে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে বলে ট্রাফিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

ফলে পার্ক সার্কাস, মল্লিকবাজার, শিয়ালদহ এস এন ব্যানার্জি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, সূর্য সেন স্ট্রিট-সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ি আটকে পড়ে। দিন কয়েক আগে একটি ধর্মীয় মিছিলের জেরেও একই ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হয় শহরবাসীকে। আধ ঘণ্টার পথ পেরোতে সময় লেগে যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা। বৃহস্পতিবারও একটি রাজনৈতিক দল শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাস্তা আটকে তাঁদের আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে।

শুক্রবার পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে বাসে উঠেছিলেন বালিগঞ্জের বাসিন্দা শিউলি রায়। তিনি বলেন, “এই পথ দিয়ে আমি সাধারণত পঁচিশ মিনিটে ধর্মতলা পৌঁছে যাই। আজ সেখানে ঠায় দেড় ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হয়েছে। কাজের দিনে রাস্তা আটকে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে, এই দুর্ভোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিক প্রশাসন।”

লালবাজার সূত্রে খবর, সভা-সমাবেশ-মিছিল করার জন্য দিন ঠিক করেই পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন। তাই এ ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার থাকে না।

এ দিনের মিছিল নিয়ে লালবাজারের এক ট্রাফিককর্তা বলেন, মিছিল শেষ হওয়ার পরেই শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মিছিল শেষ হওয়ার পরেও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকতে হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে দুর্ভোগের শুরু হয় বাঘা যতীন স্টেশনের ট্রেন বিভ্রাট দিয়ে। সকাল এগারোটা নাগাদ বাঘা যতীনে ওভার হেডের তার ছিঁড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান যাত্রীরা। দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

rally
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy