শহর জুড়ে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা ফুটে উঠেছে। নিজস্ব চিত্র।
জল সরতেই শহর জুড়ে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা ফুটে উঠেছে। খানাখন্দের উপর দিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না যাত্রী থেকে শুরু করে গাড়িচালকেরা। সামনেই পুজো, এখনও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শহরবাসীর একাংশ। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— সর্বত্রই একই চিত্র ফুটে উঠেছে।
গত সপ্তাহে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, তারাতলা, পর্ণশ্রী, হরিদেবপুর, ঠনঠনিয়া, পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ থেকে শুরু করে ইএম বাইপাস, গড়িয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ওই সব এলাকায় জল সরতেই পিচের রাস্তায় কঙ্কাল দশা ফুটে ওঠে। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর, বেহালা-ঠাকুরপুকুরের দিক থেকে ধর্মতলা যাওয়ার ব্যস্ততম রুট এখন তারাতলা হয়ে ব্রেস ব্রিজ যাওয়ার রাস্তা। বেহালার বাসিন্দা হীরক বিশ্বাস বাইক নিয়ে প্রতি দিন কর্মসূত্রে ধর্মতলায় আসেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘অফিস যাওয়ার সময় বেহালা, তারাতলা এবং রিমাউন্ড রোড দিয়ে যেতে হয়। রাস্তার যা অবস্থা তাতে বাইক নিয়ে যেতে ভয় লাগে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরসভা এবং পুলিশ তো বিষয়টি নিয়ে নির্বিকার।’’
তারাতলা থেকে ব্রেস ব্রিজ হয়ে রিমাউন্ড রোডের রাস্তার দশা বেহাল। অন্য দিকে, বজবজ ট্রাঙ্ক রোড থেকে তারাতলাগামী রাস্তারও একই হাল। পার্ক সার্কাস লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তাতে পিচ উঠে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে শিয়ালদহ উড়ালপুল (বিদ্যাপতি সেতু) তিন দিন বন্ধ ছিল। বৃষ্টির পর উড়ালপুলের অবস্থাও ভয়ঙ্কর। ওই সেতুর উপর ট্রাম লাইন রয়েছে। সেই সব জায়গায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি।
এখনও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শহরবাসীর একাংশ। নিজস্ব চিত্র।
পুরসভা সূত্রে খবর, এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ এবং পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে রাস্তার হালহকিকতের খোঁজ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে পুর আধিকারিকেরা একটি বৈঠকও করবেন। পুজোর আগেই যাতে শহরের রাস্তার হাল ফেরানো যায়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: শিশুকে ‘যৌন হেনস্থা’, বিক্ষোভ একবালপুরের স্কুলে
আরও পড়ুন: বিকল দরজা খোলা রেখেই ছুটল মেট্রো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy