দম্পতি পরিচয়ে এক যুবকের সঙ্গে কলকাতার একটি গেস্টহাউসে উঠেছিলেন এক মহিলা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। যুবক অবশ্য বেপাত্তা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর লেনে। পুলিশ জানায়, মৃতা সারথি হালদার (২৯) দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাঘদীঘির বাসিন্দা। পুলিশ জেনেছে, একই এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক সারথির স্বামীর বন্ধু। রবিবার দুপুরে ১৮ নম্বর একবালপুর লেনের ওই গেস্ট হাউসে ওঠেন তাঁরা।
পুলিশ জেনেছে, একটি বহুতলের একতলায় চারটি ঘর নিয়ে গেস্ট হাউসটি। কোণের একটি ঘর কয়েকশো টাকায় দু’দিনের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন ওই দু’জন। গেস্টহাউস থেকে পুলিশ জেনেছে, ওই দু’জন উপযুক্ত পরিচয়পত্র পেশ করেছিলেন। দু’জনের পদবিও এক হওয়ায় সন্দেহ হয়নি কারও। এ ছাড়া, তাঁরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন। এই কারণে অনেকেই সেখানে গেস্ট হাউস ভাড়া নেন বলে সন্দেহ হয়নি কেয়ারটেকারেরও।
কেয়ারটেকারের দাবি, বিকেলে ৩টে নাগাদ খাবার আনতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে যান ওই যুবক। রাতেও না ফেরায় সন্দেহ হয় কেয়ারটেকারের। তিনি পিছনের জানলা দিয়ে দেখেন, গলায় শাড়ি জড়ানো অবস্থায় বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে মহিলা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। হাসপাতালে সারথিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের দাবি, ফাঁসের কারণে মহিলার গলায় কালশিটে মিলেছে। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয় বলে
অনুমান পুলিশের।
পুলিশ জেনেছে, সারথির স্বামী ও ওই যুবক এসি সারাইয়ের কাজ করেন। সেই সূত্রেই আলাপ মহিলার। দুই পরিবারের লোকজনও একে অপরকে ভাল ভাবে চিনতেন। পুলিশের দাবি, ওই মহিলাকে খুনের উদ্দেশ্য হয়তো ছিল না ওই যুবকের। না হলে তাঁরা ঠিক পরিচয়পত্র দিতেন না। তবে এমন কী ঘটল, তা-ই এখন প্রশ্ন পুলিশের। ওই যুবকের খোঁজে রায়দীঘি পৌঁছেছে পুলিশের একটি দল। পরিবার ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই যুবকের বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। এ দিকে, গেস্ট হাউসে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy