মন্ত্রী-ব্যবসায়ীদের বৈঠকে আলুর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত। —ফাইল চিত্র।
বাজারে আলুর দাম নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতো শুক্রবার একপ্রস্ত বৈঠকও হয়েছে নবান্নে। এর পর শনিবার হুগলির হরিপালে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়ে দিলেন, বৈঠকে আলুর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলকাতার বাজারে কেজিপ্রতি ৩০ টাকার মধ্যেই আলু পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, কলকাতার বাজারে আলুর দামবৃদ্ধি নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিল প্রশাসন।
শীতকালেও আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আনাজের মধ্যে মূলত আলু-পেঁয়াজের দামবৃদ্ধি নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। মমতার মত, তাঁর নির্দেশ অমান্য করে আলু বাইরে পাঠানো হয়েছিল বলেই জোগান কমে গিয়ে দাম বে়ড়ে গিয়েছে। এর পরেই আলুর দাম কমাতে উদ্যোগী হয়।
শনিবার হরিপালে ‘সুফল বাংলা’র প্রোজেক্ট ডিরেক্টর গৌতম মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় ও রাজ্য হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পতিতপাবন দে-সহ আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন বেচারাম। বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে। সেই আলু কলকাতায় ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
সুফল বাংলায় কলকাতায় আমরা ২৮ টাকায় আলু বিক্রি করব। এর প্রভাব আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার চাপ দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা গুরুত্ব না দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’’
বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল জ্যোতি আলু। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২৬ টাকায় আলু দেওয়া হবে। সোমবার থেকে বাজারে ওই দামে আলু পৌঁছে যাবে। ভিন্রাজ্যে আলু যেমন যাচ্ছে যাবে। এখনও হিমঘরগুলোতে প্রায় দশ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত আছে। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত হিমঘর খোলা রাখার কথা বলেছে সরকার। আমার চাইছি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy